সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রত্নগর্ভা মা শেখ হা‌সিনার গর্ব সজীব ওয়া‌জেদ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৫৪ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

এক‌টি দে‌শের জা‌তির জন‌কের না‌তি, সেই দে‌শের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র পুত্র যে এত কষ্ট ক‌রে, এত সাধারণ জীবনযাপনের মাধ্য‌মে পড়াশুনা কর‌ে মানু‌ষের মতো মানুষ হ‌তে পা‌রে তা না জান‌লে বিশ্বাস করা ক‌ঠিন ছিলো।

ঘটনাটা কোন গল্প বা সি‌নেমার কা‌হিনী নয়, বাংলা‌দে‌শের স্বাধীনতার স্থপ‌তি, জা‌তির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিবুর রহমা‌নের অ‌তি আদরের দৌ‌হিত্র, বিশ্বমানবতার জননী খেতা‌বে ভূ‌ষিত বাংলা‌দে‌শের প্রধানমন্ত্রী শেখ হা‌সিনার সু‌যোগ্য পুত্র, বিশ্বখ্যাত প্রযু‌ক্তি বি‌শেষজ্ঞ সজীব ওয়া‌জেদ জয়‌কে ছোট‌বেলা থে‌কে অ‌নেক কষ্ট ও সংগ্রাম ক‌রে অ‌তি সাধারণ মানু‌ষের মত জীবনযাপন ক‌রে পড়াশুনা কর‌তে হ‌য়ে‌ছে । বঙ্গবন্ধু‌কে স্বপ‌রিবা‌রে হত্যার পর সজীব ওয়া‌জেদ জয়‌কে নানান ধর‌নের বাধা ডি‌ঙ্গি‌য়ে বড় হ‌তে হ‌য়ে‌ছে । স্কু‌লে প‌রিক্ষীর খাতায় স‌ঠিক/ভাল লিখ‌লেও ষড়যন্ত্র ক‌রে কম নম্বর দেয়া হতো । বাবা মা আত্মীয় স্বজন ছাড়াই সম্পূর্ণ একা একা হো‌স্টে‌লে সপ্তা‌হে ৬ দিন সবজী ভাত খে‌য়ে পড়াশুনা কর‌তে হ‌য়ে‌ছে । স্কুল ক‌লে‌জের ফি দি‌তে পা‌রে‌নি । তরুণ প্রজ‌ন্মের অহংকার সজীব ওয়া‌জেদ জয় সম্প‌র্কে তার রত্নগর্ভা মা শেখ হা‌সিনা ব‌লেন,

ভারতের ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করার পর জয় কিছু দিন চাকরি করে এরপর আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য এমআইটিতে (আমেরিকা) চান্স পেল। আমি তার শিক্ষার খরচ দিতে পারিনি। দুটো সেমিস্টার পড়ার পর নিজে কিছু দিল, আমাদের কিছু বন্ধুবান্ধব সহযোগিতা করল, যার জন্য যেতে পারল।

আর আব্বার বন্ধু আমার ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিয়েছিলেন। উনি বলতেন, তুমি পলিটিক্স করো এটা আমার ওপর ছেড়ে দাও। তিনি না থাকলে আমি পড়াতে পারতাম না। এমনকি মিশনারি স্কুলে তারা পড়েছে। সাত দিনই সবজি বা ডালভাত খেতে হতো, একদিন শুধু মাংস খেতে পারত। এভাবে কৃচ্ছ সাধন করে এরা বড় হয়েছে।

যখন এমআইটিতে দিতে পারলাম না। আমি প্রধানমন্ত্রী, আমার দ্বিধা হল, কাকে বলব টাকা দিতে বা কীভাবে আমি টাকা পাঠাবো, বুঝতে পারিনি। কার কাছে দেনা হব? আমার কারণে তার পড়া হল না। দুটো সেমিস্টার করে তাকে বিদায় নিতে হল। তারপর সে চাকরিতে ঢুকল।

২০০৭ সালে বউমা অসুস্থ হলে দেখতে গেলাম। তখন তাকে অনুরোধ করলাম। কারণ আমার ভেতরে এই জিনিসটা খুব কষ্ট লাগত যে, আমি প্রধানমন্ত্রী হলেও তার পড়ার খরচ দিতে পারিনি। তখন আমি বললাম, তুমি হার্ভার্ডে আবেদন কর। আমি অনুরোধ করার পর সত্যি সে আবেদন করল। চান্স পেয়ে গেল।

আমি কথা দিয়েছিলাম, ফার্স্ট সেমিস্টারের টাকা আমি দেবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার আগে গ্রেফতার হয়ে গেলাম। তবে আমি চেয়েছিলাম, চান্স যখন পেয়েছে যেভাবে পারুক চালাক। পরে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে তা ভাড়া দিয়ে সেই ভাড়ার টাকা দিয়ে, কলেজ থেকে দূরে বাসা নিল যাতে সস্তায় বাসা পায়, গাড়ি রেখে মটরসাইকেল চালিয়ে সে আসত।’

-দেশরত্ন শেখ হাসিনা

মোটকথা রত্ন থে‌কে রত্নই সৃ‌ষ্টি হ‌বে এটা যেমন সত্য তেম‌নি মেধা হ‌চ্ছে আলোর মতই তা‌কে যেখা‌নেই রাখ‌বে জ্ব‌লে উঠ‌বে ।
যত অন্ধকার হোন না কেন, যত অব‌হেলাই করুক না কেন মেধার বিকাশ ঘট‌বেই । আর মেধা হ‌চ্ছে আল্লাহর দান, আল্লাহ তা‌কেই মেধা দান ক‌রেন যার দ্বারা তার সৃ‌ষ্টির সেরা জীব মানু‌ষের কল্যাণ হ‌বে । বাংলা‌দে‌শের স্বাধীনতার জন্য অ‌নে‌কেই সংগ্রাম ক‌রে‌ছেন কিন্তু স্বাধীনতা অ‌র্জিত হ‌য়ে‌ছে বঙ্গবন্ধুর নেতু‌ত্বে আন্দোলন সংগ্রা‌মের মাধ্য‌মে । অ‌নেক ঘাতক শাসক বাংলা‌দেশ‌কে নেতৃত্ব দি‌য়ে‌ছেন কিন্তু উন্নয়ন ও মানু‌ষের কল্যাণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হা‌সিনা ছাড়া আর কেউ কর‌তে পে‌রে‌ছে কি ? পা‌রে‌নি । শেখ হা‌সিনার মেধা ও স্মৃ‌তি মহান আল্লাহর দান যা‌কে ১৯ বার হত্যা কর‌তে চেষ্টা ক‌রে‌ছে স্বাধীনতা বি‌রোধী শত্রুরা , ব্যার্থ হ‌য়ে‌ছে কেন না আল্লাহই তা‌কে রক্ষা কর‌ছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হা‌সিনার গ‌র্ভ থে‌কে জন্ম নি‌য়ে‌ছেন সজীব ওয়া‌জেদ জয় যার মেধা, জ্ঞান, দুরদ‌র্শিতা শুধু রত্নগর্ভা মা শেখ হা‌সিনাকে বি‌স্মিত ক‌রে‌ছে তা নয় সমগ্র অনুন্নত বা দ্রুত উন্নয়নশীল রাষ্ট্রনেতারাও সজীব ওয়া‌জেদ‌কে অনুসরণ কর‌ছে, অনুকরণ কর‌ছে । সম্প্র‌তি জা‌তিসংঘ থে‌কে আই‌সি‌টি ফর ডে‌ভেলপ‌মেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রা‌প্তি কোন সাধারণ ঘটনা নয়, জাদুকরী মেধারই মূল্যায়নের অংশ। আজ‌কের ডি‌জিটাল বাংলা‌দেশ, প্রযু‌ক্তির বি‌স্ফোরণ, বঙ্গবন্ধু স্যা‌টেলাইট, 4G, 5G সবই সজীব ওয়া‌জেদ জ‌য়ের অবদান ।

সজীব ওয়া‌জেদ জয় এখন শুধু বাংলা‌দে‌শের গর্ব নয় তি‌নি অনুন্নত বি‌শ্বের আলোকিত প‌থের দিশারী ।