মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে অস্ট্রেলিয়া
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগে অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পেইন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আশ্বাস দেন। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া রোহিঙ্গা সংকট পরিস্থিতির ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহযোগিতা বাড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ব্লু-ইকোনমি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দু’দিনব্যাপী সম্মেলন ২০১৯ এ যোগদানের জন্য তিনদিনের সফরে ঢাকায় আসেন মেরিস পেইন। ৪ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে আসার আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন পরিস্থিতি পরিদর্শনে তিনি মিয়ানমার সফর করেছিলেন।
বৈঠকের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করায় অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আস্থার অভাবে রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক তদারকিতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জবাবে পেইন বলেন, কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে তিনি বাস্তব ও মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি অনুধাবন করেছেন।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ছাড়াও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি, স্থিতি ও সমৃদ্ধি জোরদারে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় মোমেন বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ব্যবসায়িক যোগাযোগ ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া ক্রমশ বাড়ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশিদের অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণের নির্দেশনা রিভিউ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
এছাড়া তিনি ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে ভিসা অফিস পুনরায় চালুর অনুরোধ জানান। সম্প্রতি এ অফিস দিল্লীতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পেইন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ এসব অনুরোধ বিবেচনা করবে ও এ বিষয় বাংলাদেশকে জানাবে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।