‘নতুন বইয়ের সঙ্গে দুই হাজার টাকাও পাবে শিক্ষার্থীরা’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:০৫ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার
আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি দুই হাজার করে টাকাও দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
শনিবার কুড়িগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসন স্বপ্নকুঁড়ি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেধাবী জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ আজকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২০৪১ সালে যুবক হবে। যারা নেতৃত্ব দেবে উন্নত রাষ্ট্রের। তাই আগামী বছরের শুরু দিন দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি স্কুল ড্রেসের জন্য দুই হাজার করে টাকা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়গুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় করে সাজানো হচ্ছে ক্লাস রুম। আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করতে সরকারের এতসব আয়োজন।
এ সময় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জাকির হোসেন বলেন, সরকারের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে যারা দুর্নীতি করছেন, তারা কেউ মাফ পাবেন না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। মনে রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল, রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালক আব্দুল ওহাব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক শিফটে বিদ্যালয় চালু কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরমধ্য দিয়ে দেশের ৪টি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফটের কর্মসূচির উদ্বোধন হলো।
এক শিফট চালুর চারটি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো- মাগুরা সদর উপজেলার হাজীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার-১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নেত্রকোণা সদর উপজেলার-৩৬ নং বালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ভবন রয়েছে আমরা সে সমস্ত বিদ্যালয়গুলোতে এক শিফট চালু করতে চাই। এ জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের চারটি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফটের সময়সূচি শুরু করা হলো।
চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি পরীক্ষামূলকভাবে চালু থাকবে। এখানে ভালো ফল পেলে ক্লাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় কমিয়ে আনতে পর্যায়ক্রমে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় এক শিফটে চালু করা হবে বলেও জানান জাকির হোসেন।
এরপর প্রতিমন্ত্রী রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশা তালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।