প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাওয়া যাবে?
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার
যত সুস্বাদু খাবারই হোক, এক চিমটি লবণের অভাবে তা মুহূর্তেই বিস্বাদ হতে বাধ্য। লবণ এমনই এক উপাদান যা খাবারের তালিকা থেকে বাদ পড়লে স্বাদের পাশাপাশি ঘাটতি পড়বে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থেও। অর্থাৎ, লবণ আপনাকে প্রতিদিন খেতে হবেই। আবার পরিমাপের থেকে বেশি খেলে আর দেখতে হবে না, ব্লাড প্রেশার সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে তার হাত ধরে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা ছুটে আসবে তখনই।
কী? বুঝতে পারছে না কী করবেন? এই পরিস্থিতিতে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে ঠিক কতটা লবণ আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত এবং কীভাবে সেই মাত্রার মধ্যে নিজেদের ডায়েটকে বেঁধে রাখা সম্ভব।
সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে দিনে দুই গ্রাম মতো লবণ খাওয়ার অনুমতি দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যাদের রক্তচাপ একটু বেশি, তাদের ক্ষেত্রে দেড় গ্রামের মধ্যেই ব্যাপারটাকে বেঁধে রাখা ভালো। আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই লবণের পরিমাণ স্থির করুন, কারণ সোডিয়াম বা লবণ হচ্ছে আপনার শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইলেকট্রোলাইট।
আমাদের শরীরে স্বাভাবিক ফ্লুইড ব্যালান্স বজায় রাখতে গেলে সোডিয়াম একান্ত প্রয়োজনীয়, তা আপনার নার্ভ ও পেশির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ঘাম এবং মূত্রের মাধ্যমে বাড়তি সোডিয়াম শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের মূত্রে লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হয় না বলেই তা খাওয়া নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
মনে রাখবেন, আপনি যত প্যাকেটবন্দি প্রক্রিয়াজাত খাবার বা পানীয় গ্রহণ করেন, তার প্রত্যেকটির মধ্যেই থাকে সোডিয়াম। তাই প্রসেসড খাবার ও বোতলবন্দি পানীয় থেকে দূরে থাকতে না পারলে বাড়তি সোডিয়ামের হাত থেকে কখনওই মুক্তি পাবেন না।
রেস্তোরাঁর খাবার, ফাস্ট ফুড ইত্যাদিকেও সুস্বাদু করে তোলার জন্য প্রচুর পরিমাণে লবণ মেশানো হয়। বাইরের খাওয়া বন্ধ করলেও বাড়তি লবণের চাপ থাকে না।
প্রচুর পানি পান করুন, ব্যায়াম করুন, খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল ও শাকসবজি। তা হলেই আর লবণ আপনাকে বিন্দুমাত্র বিব্রত করতে পারবে না।
যারা রান্না করা খাবারের উপরে কাঁচা লবণ ছড়িয়ে খান, তারা সাবধান হোন। এই অভ্যাসটি আদৌ আপনার কোনো কাজে লাগবে না, বরং এর কারণে সমস্যা বাড়তে পারে।