আকদুল ইস্তিসনা : ঘরে বসে হালাল আয়
ধর্ম ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার
আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বা অনলাইন মার্কেটিংয়ের এ যুগে ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের প্রতি মানুষের ঝোঁক ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সময় ছিল, যখন মানুষকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য দূর-দূরান্তের দেশ ভ্রমণ করতে হতো।
মুক্তবাজার অর্থনীতি ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের এ সময়ে কেবল ঘরে বসেই পৃথিবীজুড়ে ব্যবসা বিস্তৃত করা কল্পকাহিনি নয়; ঘটমান বাস্তবতা। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কেন্দ্র করেও তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা মার্কেট প্লেস। ফলে কেবল মুঠোফোন ব্যবহার করে একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন সফল ব্যবসায়ী। বিশেষত, ধার্মিক ঘরানার অনেককেই অধুনা এ রকম ব্যবসায় জড়িত হতে দেখা যাচ্ছে। এসব উদ্যোক্তার ব্যবসাকে আরও বেগবান করতে পারে ইসলামি শরিয়া কর্তৃক অনুমোদিত ইস্তিসনা চুক্তি বা আকদুল ইস্তিসনা। নিম্নে আকদুল ইস্তিসনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পেশ করা হলো।
ইস্তিসনা কী?
আভিধানিক অর্থ : শব্দটি আরবি সুনউ’ন ধাতু থেকে নির্গত। কোরআনুল কারিমের ২০টি স্থানে এ ধাতু থেকে উদ্ভূত শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থ, বানিয়ে নেওয়া বা অন্যের দ্বারা তৈরি করানো।
পারিভাষিক অর্থ : আল্লামা কাসানি (রহ.) এর মতে, প্রস্তুতকারীর জিম্মায় পণ্য তৈরি করে দেওয়ার শর্তে যে চুক্তি সংঘটিত হয় তাকে ইস্তিসনা বলে।
ইবনে আবেদীন শামী (রহ.) বলেন, গ্রাহক কোনো বিশেষ জিনিস বিশেষ পদ্ধতিতে প্রস্তুতকারীকর্তৃক তৈরি করিয়ে নেওয়ার নাম ইস্তিসনা।
মুফতি তাকি উসমানি দা.বা. বলেন, গ্রাহক চুক্তি করা যে, বিক্রেতা নিজস্ব কাঁচামাল বা উপকরণের দ্বারা নির্ধারিত গুণবিশিষ্ট পণ্য বানিয়ে দেবে এবং বিনিময়ে বিক্রেতা উভয়ের সম্মতিক্রমে ধার্যকৃত মূল্য প্রাপ্ত হবে।
আকদুল ইস্তিসনার ক্ষেত্রে গ্রাহককে বলা হয় মুস্তাসনি। প্রস্তুতকারীকে বলা হয় সানি। প্রস্তুতকৃত পণ্যকে বলা হয় মাসনু।
ইস্তিসনার হাকিকত : জীবনের নৈমিত্তিক প্রয়োজনে আমরা বিভিন্ন জিনিস অন্যের মাধ্যমে তৈরি করিয়ে নিই। দর্জির মাধ্যমে পরিধেয় বস্ত্র, ছুতারের মাধ্যমে কাঠের আসবাবপত্র, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে সফটওয়্যার ইত্যাদি। প্রস্তুত করানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক যদি কাঁচামাল বা উপকরণের আঞ্জাম না দেয়; বরং প্রস্তুতকারী নিজেই ব্যবস্থা করে, তাহলে একে ইস্তিসনা চুক্তি বলা হয়ে থাকে। ইস্তিসনা এক ধরনের ক্রয়চুক্তি। অপরদিকে ক্রেতা নিজেই যদি কাঁচামাল সরবরাহ করে তাহলে সেটা হবে ইজারা বা ভাড়া চুক্তি।
ইস্তিসনার প্রয়োজনীয়তা : সাধারণত, বাজারে বা বিপণিবিতানগুলোতে রেডিমেড বা প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়। কিন্তু চাহিদা-পছন্দের বিভিন্নতা বা বিশেষ প্রয়োজন হেতু অনেক সময়েই পণ্য প্রস্তুত করানো অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এঅবস্থায় শরিয়া ইস্তিসনা চুক্তির সুযোগ রেখেছে। ফলে শরিয়া অনুযায়ী আকদুল ইস্তিসনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় বা পছন্দসই পণ্য অন্যের মাধ্যমে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ইস্তিসনার শরয়ি অবস্থান
হানাফি উলামায়ে কেরামের কাছে ইস্তিসনা একটি বৈধ চুক্তি। অবশিষ্ট তিন মাজহাবের ইমামদের কাছে ইস্তিসনা চুক্তি বৈধ নয়। তারা এটাকে বাইয়ে সালামের প্রকার হিসেবে গণ্য করে থাকেন এবং তাদের মতে, বাইয়ে সালামের শর্তাদি না পাওয়া গেলে এ ধরনের চুক্তি বৈধ হবে না। সমসাময়িক উলামায়ে কেরাম হানাফি মাজহাবের মতটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
ইস্তিসনার প্রমাণ
ইস্তিসনা বৈধ হওয়ার মূল দলিল ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলোয় এর ব্যাপক প্রচলন। নবীযুগ থেকে অদ্যাবধি এ ধারা অব্যাহত আছে। হানাফি মাজহাবের প্রসিদ্ধতম কেতাব আল-হিদায়াতে এটাকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। (হেদায়া, খ–৩, পৃষ্ঠা-৪৫)।
হজরত সাহল ইবনে সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে আকরাম (সা.) জনৈকা আনসারী নারীর কাছে সংবাদ পাঠান, ‘তোমার ছুতার গোলামকে আদেশ করো, সে যেন আমার জন্য একটি কাঠের মিম্বর তৈরি করে। আমি যখন জনতার সম্মুখে বক্তৃতা করব, তখন তার ওপর উপবেশন করব।’ অতঃপর, সে নারী সাহাবি তার গোলামকে আদেশ করেন এবং গোলাম বনের কাঠ দিয়ে মিম্বর তৈরি করে রাসুলের কাছে পৌঁছে দেয়। ( বোখারি : ৯১৭)
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে হাবীব (সা.) অনারব রাষ্ট্রগুলোতে দাওয়াতি পত্র প্রেরণের ইচ্ছা ব্যক্ত করলে তাকে জানানো হয়, অনারবরা মোহরাঙ্কিত ব্যতীত পত্র গ্রহণ করে না। তখন রাসুলে আকরাম (সা.) একটি রুপার আংটি তৈরি করিয়ে নেন। (মুসলিম : ২০৯২)
ইস্তিসনা বৈধ হওয়ার শর্তাবলি
লেনদেনকৃত পণ্য এমন বস্তু হওয়া, যা তৈরির প্রয়োজন হয়। প্রস্তুত করতে হয় না, এমন বস্তুতে ইস্তিসনা বৈধ নয়। যেমন : ধান, চাল, গম, পাট ইত্যাদি।
গুণ বা বৈশিষ্ট্য বর্ণনার মাধ্যমে পণ্য নির্ধারণ করা। অর্থাৎ, যে পণ্যে ইস্তিসনা করা হবে তার গুণাবলি, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, মডেল ইত্যাদি পরিষ্কার ভাষায় উল্লেখ করতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের জন্যে ইস্তিসনা করা বৈধ নয়।
সময় নির্ধারিত হওয়া। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য বিশেষ কোনো কারণে পণ্য প্রস্তুত করতে যদি বিলম্ব হয় তাহলে ক্রেতার সম্মতিতে তা গৃহীত হতে পারে।
পণ্য অবশ্যই এমন হতে হবে যা প্রস্তুত করানো সমাজে প্রচলিত রয়েছে। ওই পণ্য প্রস্তুত করানোর প্রচলন সমাজে না থাকলেও ইস্তিসনা চুক্তি করা যাবে; তবে সেক্ষেত্রে সময় নির্ধারণ করা যাবে না। সময় নির্ধারণ করা হলে তা বাইয়ে সালাম হিসেবে গণ্য হবে এবং সালামের সব শর্তাদি সেখানে প্রযোজ্য হবে।
পণ্য প্রস্তুত করার সম্পূর্ণ কিংবা গ্রহণযোগ্য পরিমাণ কাঁচামাল ও উপকরণ প্রস্তুতকারী নিজে সরবরাহ করা। গ্রাহক নিজেই যদি উপকরণ সরবরাহ করেন তাহলে তা ইজারা বা ভাড়া চুক্তি হিসেবে গৃহীত হবে; ইস্তিসনা হবে না। প্রস্তুতকারী কর্মচারী হিসেবে মজুরি প্রাপ্ত হবেন।
প্রস্তুতকৃত পণ্যের হুকুম
প্রস্তুতকৃত পণ্য উভয়ের ধার্যকৃত গুণবিশিষ্ট হতে হবে। পূর্ব প্রস্তুতকৃত পণ্যে ইস্তিসনা চুক্তি বৈধ নয়। তবে চুক্তিসম্পন্ন হওয়ার পর প্রস্তুতকারী একই গুণবিশিষ্ট পূর্ব-প্রস্তুতকৃত পণ্য প্রদান করলে এবং ক্রেতা গ্রহণ করলে চুক্তি বৈধ হবে।
অর্পণ করার পূর্বে প্রস্তুতকারী নিজেই প্রস্তুতকৃত পণ্যের মালিক। ফলে তিনি চাইলে ওই পণ্য অন্যত্র বিক্রয় করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রস্তুতকারীকে অবশ্যই একই রকম পণ্য ক্রেতাকে প্রদান করার সামর্থ্য থাকতে হবে।
পণ্য হস্তান্তর করার পূর্ব পর্যন্ত প্রস্তুতকারীকে যাবতীয় ক্ষয়-ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। এক্ষেত্রে পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা নষ্ট হয়ে গেলে প্রস্তুতকারীর মালিকানায় ধ্বংস হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।
যেহেতু হস্তগত হওয়ার আগ পর্যন্ত গ্রাহক পণ্যের মালিক নয়, তাই সে ওই পণ্য অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে না।
পণ্য শর্ত মোতাবেক না হলে ক্রেতার গ্রহণ অথবা বর্জনের অধিকার সাব্যস্ত হবে। শর্ত মোতাবেক হলে পণ্য অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।
পণ্য হস্তান্তর করার পরও যদি গ্রাহক কোনো কারণবশত গ্রহণ করতে না পারেন বা বিলম্ব করেন, সেক্ষেত্রে যাবতীয় ক্ষয়-ক্ষতি গ্রাহককে বহন করতে হবে।
বিনিয়োগকৃত অর্থের হুকুম
চুক্তি সম্পন্নের সময় পণ্যের মূল্য নির্ধারিত হতে হবে।
মূল্য নগদ হওয়া আবশ্যকীয় নয়; বাকি বা কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করা বৈধ।
পণ্য হস্তান্তরের আগেই মূল্য পরিশোধ করে দিলে তা প্রস্তুতকারীর সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। এ অর্থ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার বৈধ এবং এ অর্থের ওপর জাকাত সংযোজিত হবে। কোনো কারণে পণ্য হস্তান্তর অসম্ভব হলে ক্রেতাকে ধার্যকৃত মূল্য ফেরত দিতে হবে।
ইস্তিসনা চুক্তির ক্ষেত্রে মুনাফাকে মূল্য হিসেবে গ্রহণ করা বৈধ। প্রচলিত ই.ঙ.ঞ (ইঁরষফ, ঙঢ়বৎধঃব ধহফ ঞৎধহংভবৎ) চুক্তিকে এর ভিত্তিতেই বৈধতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
বিশেষ কোনো কারণে মূল্য পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজন দেখা দিলে উভয়ের সম্মতিতে সম্পন্ন হতে হবে।
চুক্তি নির্ধারণের সময় এমন শর্তারোপ করা বৈধ যে, প্রস্তুতকারী যথাসময়ে পণ্য হস্তান্তরে অপারগ হলে বিলম্ব অনুযায়ী মূল্য হ্রাস করা হবে।
ঘরে বসে আয়ের কয়েকটি পদ্ধতি
দুটি পদ্ধতিতে আকদুল ইস্তিসনার মাধ্যমে ঘরে বসে আয় করা সম্ভব। ১. পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে। ২. অর্ডার গ্রহণের মাধ্যমে।
অর্ডার গ্রহণের মাধ্যমে আয়
এ পদ্ধতিটি সমাজে ব্যাপক প্রচলিত। বরং তৈরি খাতের প্রায় সব কার্যাদিই এ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রস্তুতকারী গ্রাহকের কাছ থেকে অর্ডার গ্রহণ করে এবং নিজেই সব উপকরণের বন্দোবস্ত করে, পণ্য তৈরি করে সরবরাহ করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের সেলাই, বুটিকসহ পোশাক খাতে এর ব্যবহার ব্যাপক। এছাড়াও, ফ্রিল্যান্সিং, ডেভলপিং, সফটওয়্যার নির্মাণ, অনলাইনে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় এক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পর্দানশীন উদ্যোক্তা নারীদের অর্থ উপার্জনের জন্য এ পদ্ধতি অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। বিশেষত, ঘরে বসে হাতের কাজ ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়
পদ্ধতি-১ : যায়েদ ফার্নিচার তৈরির কাজ করে। তার কাছে ১০টি খাট বানানোর অর্ডার আছে। অর্থাভাবে করতে পারছে না। যায়েদের বন্ধু করিমের কাছে প্রয়োজনীয় মূলধন রয়েছে। করিম গ্রাহককে সরাসরি তার সঙ্গে চুক্তি করতে বলবে। চুক্তি গ্রহণ করে করিম বন্ধু যায়েদের সঙ্গে অতিরিক্ত লাভে আরেকটি চুক্তি করবে এবং তাকে অর্থ প্রদান করবে। এভাবে করিম গ্রাহকের সঙ্গে প্রস্তুতকারী হিসেবে এবং যায়েদের সঙ্গে গ্রাহক হিসেবে ইস্তিসনা চুক্তিতে আবদ্ধ হবে। স্মরণ রাখতে হবে, উভয় চুক্তির মাঝে কোনোরকম সম্পর্ক না থাকা বাঞ্ছনীয়।
পদ্ধতি-২ : যায়েদের হাতে ১০টি খাট তৈরির অর্ডার রয়েছে, যার বিক্রি মূল্য ১০ লাখ টাকা। করিম নিজের পক্ষ থেকে যায়েদকে উল্লিখিত গুণবিশিষ্ট ১০টি খাট বানিয়ে দেওয়ার অর্ডার করবে। অতঃপর করিম নিজেই সে খাট অর্ডার মোতাবেক বিক্রয় করে দেবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে ইস্তিসনা চুক্তিতে খাট বিক্রি করা হয়নি। বরং তাদের অর্ডার মাফিক পণ্য প্রস্তুত করে সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের মতো লেনদেন করা হয়েছে।
পদ্ধতি-৩ : খালেদের বাড়ি বানানো প্রয়োজন। কিন্তু তার কাছে যথেষ্ট অর্থ নেই। বন্ধু সজীব খালেদের বাড়ির নকশা নিয়ে ইস্তিসনা চুক্তি করে যে, আমি তোমাকে বাড়ি বানিয়ে দেব। এত টাকা দাম হবে। অপরদিকে সে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করিয়ে নেয় এবং অতিরিক্ত লাভে বন্ধুর কাছে বিক্রি করে দেয়। এ পদ্ধতিতে ইস্তিসনা চুক্তি করা বৈধ।
এছাড়া আরও বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইস্তিসনা চুক্তির মাধ্যমে একজন সফল ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা আর্থিক উন্নয়ন, কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি ও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
চলমান বিপর্যস্ত বাজারব্যবস্থায় একদিকে পুঁজির অভাবে ব্যবসায়ীরা উৎপাদনক্ষেত্রগুলোতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে অক্ষম, অপরদিকে এমন অসংখ্য পুঁজিপতি রয়েছেন যাদের অর্থ অলস পড়ে আছে কেবল হালাল উৎপাদন ক্ষেত্রের অভাবে। পুঁজিপতিদের যারা নিরাপদে অর্থ উপার্জন করতে চান, প্রায়ই তাদের সুদের মুখে পড়তে হয়। মুদারাবা, মুশারাকার নাম দিয়ে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহককে নিশ্চিত সুদের ভেতর ঠেলে দিচ্ছে। অনেকে কর্জে হাসানার নাম করে সুদের বাজার সাজিয়ে বসেছে। এমন দুঃখজনক পরিস্থিতিতে আকদুল ইস্তিসনা হতে পারে উত্তরণের উত্তম উপায়। সঠিক পদ্ধতিতে আকদুল ইস্তিসনা করে ঘরে বসেই আয় করা যেতে পারে প্রয়োজনীয় অর্থ।
স্মর্তব্য, এখানে অতি সংক্ষেপে আকদুল ইস্তিসনা সম্পর্কে মৌলিক কিছু কথা বলা হলো। বিস্তারিত জানার জন্য ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাসায়েল জানার জন্য বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের শরণাপন্ন হওয়া অপরিহার্য।