সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাইরেসী শাস্তিযোগ্য অপরাধ: গণপূর্তমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:০৭ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, পাইরেসী করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ভবিষ্যতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদফতর, রাজউকসহ অন্যান্য দফতরে আইনগত প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আইটেক আনলিমিটেডের উদ্যোগে স্থাপত্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের ‘অ্যাডভান্সড ট্রেনিং অন লাইসেন্সড অটোক্যাড’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের সনদপত্র দেয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

আইটেক আনলিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম এইচ শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির।

তিনি বলেন, আইন সঙ্গত কাজ করাই আইনের শাসন। সে আঙ্গিকে অন্যভাবে সংগৃহীত সফট্ওয়্যার ব্যবহার করা আইন সঙ্গত নয়। বাংলাদেশে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পাইরেসী করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজা হতে পারে। তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সাইবার অপরাধও এর অন্তর্ভূক্ত। আমরা এখন আইন সম্মত প্রক্রিয়ায় আইনানুগ উপায়ে স্থাপত্য অধিদফতরে সফট্ওয়্যার এনেছি। এটা অত্যন্ত ভালো একটা দিক। ভবিষ্যতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন গণপূর্ত অধিদফতর, রাজউকসহ অন্যান্য দফতরে আইনগত প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সফট্ওয়্যার ব্যবহার করা হবে।

মন্ত্রী অরো বলেন, নিজেদের স্বকীয়তা রক্ষা করে অনেক কিছু সৃষ্টি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের কর্মস্পৃহা, অদম্য গতি, আন্তরিকতা আর প্রচেষ্টা দিয়ে শৃঙ্খলিত একটি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। স্থপতিদের কাছে আহ্বান থাকবে, সৃষ্টির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করুন, নিজেকে নিবেদন করুন। তাহলে আপনাদের আত্মার ক্ষুধা নিবারণ হবে।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, স্থাপত্য অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের স্থপতিরা। 

অনুষ্ঠান শেষে স্থাপত্য অধিদফতরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৮ (আঠারো) জন স্থপতিকে সনদপত্র দেয়া হয়।