বঙ্গবন্ধুর সহচর হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন আব্দুর রহিম
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রয়াত সাবেক এমপি এম. আব্দুর রহিম দক্ষতা যোগ্যতা মেধা দিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর সহচর হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুর গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক এমপি মরহুম এম আব্দুর রহিমের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দিনাজপুরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দিনাজপুরে আইসিটি পার্ক করার কাজ হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে দিনাজপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের চিন্তা-ভাবনা থেকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছেন।
তিনি বলেন, দিনাজপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। যা দিনাজপুরের অর্থনীতিকে আরো অনেক বেশি বেগবান করবে। সরকার ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
দেশের মধ্যে দিনাজপুর জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলা হিসেবে এরই মধ্যে খ্যাতি পেয়েছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এখানে রয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যা দেশের একটি স্বীকৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুরে ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির, রামসাগর ও রাজবাটী তো রয়েছেই।
তিনি আরো বলেন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানে শুধু দিনাজপুর নয় বৃহত্তর দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা থেকে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের সহায়তায় দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ১০তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল তা সরকার ২৮ হাজার মেগাওয়ার্টে উন্নীত করেছে। প্রতিটি সেক্টরে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
এম আব্দুর রহিম সমাজকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক ছয়দিনের গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ ঐতিহাসিক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবারের পক্ষ হতে বক্তব্য রাখেন মরহুম এম. আব্দুর রহিমের বড় ছেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাদিরা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মরহুম এম আব্দুর রহিমের ছোট ছেলে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম প্রমুখ।