রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘পরমাণু বোমার রেডিয়েশন প্রতিরোধ করতে সক্ষম গরুর গোবর’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৫৭ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি টকশোতে (তারিখটি জানা যায়নি) আলোচনা করছিলেন কয়েকজন। এরমধ্যে একজন ছিলেন শঙ্কর লাল। তিনি অখিল ভারতীয় গো সেবা সংঘের সভাপতি। এ সংগঠনটি ভারতীয় রাষ্ট্র সংঘ বা আরএসএসের ঘনিষ্ট। আলোচনার এক পর্যায়ে গোরক্ষা নিয়ে কথা উঠলো। তখন গরুর সম্ভাব্য উপকারিতা নিয়ে বলতে শুরু করলেন শঙ্কর লাল।

এক পর্যায়ে বললেন, গোমূত্র ও গোবর ক্যান্সার সহ নানান রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। একইসাথে গরুর গোবর দিয়ে রেডিয়েশন প্রতিরোধও সম্ভব। সাধারণ রেডিয়েশন তো বটে, শঙ্কর মনে করেন, পরমাণু বোমার রেডিয়েশন থেকে বাঁচতেও কাজ দেয় এই গোবর।

 

নিজের বক্তব্যকে শক্ত করতে এই গোরক্ষক আরও দাবি করেন, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র গবেষণায় নাকি বিষয়টি প্রমাণিত।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপক বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হতে দ্বিতীয়বার মুচকি হাসির সাথে শঙ্করকে জিজ্ঞেস করেন যে, আসলেই কি গোবর দিয়ে পরমাণু বোমার রেডিয়েশন দূর করা সম্ভব? তখন শঙ্কর বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই সম্ভব। আপনি গুগল করলেই দেখতে পাবেন। ক্যান্সারের মতো রোগ সারাতে পারলে কেন রেডিয়েশন প্রতিরোধ করতে পারবে না।

শঙ্কর আগেও সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন গোমূত্র ও গোবরের উপকারিতা বর্ণনা করে। ২০১৬ সালে এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের দেখান যে, তার মোবাইলের পেছনে গোবর লাগিয়ে রাখেন। এতে নাকি মোবাইল থেকে রেডিয়েশন বন্ধ হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের অনুষ্ঠানেও শঙ্কর একই তথ্যও জানান।

এছাড়া গোবর ও গোমূত্রের অন্যান্য উপকারী ব্যবহারের কথাও বলেছেন। যেমন, গর্ভবতী নারীদেরকে কাঁচা গোবর খাওয়ালে প্রসব সহজ হয়, শরীরের ফিটনেস ধরে রাখা যায়। নিজ ৭৬ বছর বয়সেও যে পরিমাণ ফিট আছেন, তা গোমূত্র পান ও গোবরের কিছু বাছাই করা অংশ খাওয়ার কল্যাণে বলেও জানান তিনি।

তবে এও জানালেন, এতসব উপকার শুধু দেশি গরুতেই মিলবে। পশ্চিমা গরুতে কোনো উপকার নেই। এমনকি ওইসব গরুর দুধকেও বিষ বলে অভিহিত করেন শঙ্কর।