শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদী অধিদফতর
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৩৭ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রোববার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে এখনো আশাবাদী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক এএফএম মঞ্জুর কাদির। তিনি জানান, অর্থমন্ত্রণালয় বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করে দিলেও শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে ডিপিই।
এএফএম মঞ্জুর কাদির বলেন, বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করে দেয়ার পর আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদেরকে বিষয়টি মৌখিকভাবে বলেছি। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা আন্তরিক। প্রাথমিকে শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। তাদের সামাজিক সম্মানের বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি তাদের আশাবাদী হতে বলবো।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছিলাম চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই আমরা একটা ফলাফল পাবো। শিক্ষকদের একটা সুখবর দিতে পারবো। কিন্তু সেটা হলো না। এখন সেটি কবে হবে তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও দ্রুতই বেতন বাড়বে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন শিক্ষকদের কিছুদিন ‘ধৈর্য’ ধরতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি একা আমাদের হাতে নেই। এজন্য কিছুদিন সময় লাগছে। তাছাড়া বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে সামর্থের সংযোগ রয়েছে। সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে গত ২৯ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড ঠিক আছে’ উল্লেখ করে উপসচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককরা বর্তমানে ১১তম, প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষককরা ১২তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।