প্রধানমন্ত্রী ৩ অক্টোবর দিল্লী যাচ্ছেন ৪ দিনের সফরে, মোদীর সঙ্গে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৪৯ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ৩-৬ অক্টোবর তার প্রথম ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামী ৩-৪ অক্টোবর ইনডিয়ান ইকনোমিক ফোরামে যোগ দেবেন। এরপর তিনি ৫ অক্টোবর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস সম্মেলন কক্ষে চীনে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানের দেওয়া এক মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক ও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কিছু বিষয উত্থাপন করবে।’ তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের কথা জানাননি। এর আগে ড. মোমেন জানিয়েছিলেন, চলতি মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে।
এসময় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ইটিভির প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ৭১-টিভির প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল বাবু অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র তথ্য মতে বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৫ টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এছাড়া স্পেক্টেটর ইনডেক্স-২০১৯ বলেছে, ২০০৯ সাল থেকে গত ১০ বছরে বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বে শীর্ষ স্থান দখল করেছে।
গত দশ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উচ্চ হার ধরে রাখতে পারাটাই আমাদের প্রধান সাফল্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৬-১৯৯০ পর্যন্ত বাংলাদেশের গড় অর্থনেতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৩.২ শতাংশ। যা গত দশ বছরে হলো ৬.৮ শতাংশ। এটি বিস্ময়কর।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সেবা প্রদানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, তাদের জন্য একই প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন ধরনের ৩৪টি পরিসেবা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয় ‘দূতাবাস’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। বিদেশে সকল বাংলাদেশ দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, সহজ ও ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদান নিশ্চিতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।