প্রথমবার ১৮টি অমুসলিম প্রতিষ্ঠানকে আমিরাতের স্বীকৃতি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
এতদিনের গোঁড়ামি ভেঙে এবার অমুসলিম প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিচ্ছে আরব আমিরাত সরকার। আগামী সপ্তাহে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের ১৮টি প্রার্থনাস্থলকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। এই তালিকায় মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আবু ধাবির কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট দফতর।
সব ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলের দৈনন্দিন কাজে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবুধাবি প্রশাসন। সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এক ছাতার নিচে আনা হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মসজিদের পাশাপাশি মন্দির, চার্চ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হবে বলে দাবি করেছে প্রশাসন। এতদিন পর্যন্ত আবু ধাবিতে অমুসলিম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনও আইনি বৈধতা ছিল না।
ধর্মীয় প্রার্থনাস্থলগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার মূল্য উদ্দেশ্য হল সেগুলোকে সরকারি একটি চ্যানেলের আওতায় আনা। এর মাধ্যমে সরকারের ধর্ম বিষয়ক বিভাগ বিশেষ পরিষেবা দিতে পারবে। একইসঙ্গে ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোর কোনও বিশেষ প্রয়োজন হলে তারাও এই চ্যানেলের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। ফলে জনগণ বা কোনও ব্যক্তি নতুন ধর্মীয় স্থান তৈরি বা সংশ্লিষ্ট পরিষেবা শুরু করতে চাইলে এই দফতরে আবেদন করতে হবে। সংখ্যালঘু ধর্মীয় স্থানগুলোকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে আবুধাবিতে শান্তি, সহিষ্ণুতা এবং সহাবস্থানের পরিবেশ আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে গড়ে উঠতে চলেছে প্রথম ঐতিহ্যবাহী হিন্দু মন্দির। সম্প্ৰতি হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে ওই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপণ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোচাসনবাসী শ্রী অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ সংস্থার মহন্ত স্বামী মহারাজ। তারাই এই হিন্দু মন্দিরটি নির্মাণ করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নবদীপ সুরিও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।