আরো দুটি বোয়িং বিমান কেনার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:২৯ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য আরো দুটি বোয়িং বিমান কেনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে বিমানগুলো রয়েছে সেগুলো ছাড়াও বিমানের বহরে আরো তিনটি ড্যাশ বোম্বাডিয়ার বিমান যোগ হবে। আমরা আরো একটি খবর পেয়েছি যে, বোয়িং শিগগিরই তাদের আরো দুটি বিমান বিক্রয় করবে, তা কেউ অর্ডার দিয়ে নেয়নি। সুযোগটা আমরা নেব।
মঙ্গলবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে বিমানের বহরে ৪র্থ ড্রিমলাইনার রাজহংস’র যুক্ত হওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। -খবর বাসস
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ভালো রয়েছে। কাজেই নিজস্ব অর্থে আরো দুটি বিমান ক্রয় করলে সমস্যা হবে না। যাত্রীসেবা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে যাত্রী পরিবহন বৃদ্ধিতেও বিমান সংশ্লিষ্টদের মনোনিবেশ করার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় আমরা রিজার্ভ হিসাব করি। কারণ কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাক দেখা দিলে আমাদের যদি খাদ্য কিনতে হয় তাহলে যেন তিন মাসের খাদ্য আমরা কিনতে পারি সে পরিমাণ অর্থ জমা থাকতে হবে। এর অতিরিক্ত অর্থ রেখে দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সেটা আমরা উন্নয়নের কাজে লাগাতে পারি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। কাজেই খুব যে আমরা বিপদে পড়বো তা নয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যে পরিমাণ মজুদের দরকার তা আমরা মজুদ রাখছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য গুদাম বা সাইলোগুলোতে কুলিং সিস্টেম করে দিচ্ছি যাতে খাদ্য অন্তত দুই-তিন বছর ভালো থাকতে পারে। কাজেই সব দিক বিবেচনা করেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মাদ এনামুল বারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোকাব্বির হোসেইন স্বাগত বক্তৃতা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কূটনৈতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী টারমার্কে ফিতা কেটে বিমানবহরের ৪র্থ ড্রিমলাইনার বিমান রাজহংস’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বিমানে উঠে রাজহংস ঘুরে দেখেন এবং পাইলট ও ক্রুদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।