সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সক্ষমতা বাড়ছে বরিশাল বিমানবন্দরের

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:১৩ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

রানওয়ের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বাড়ানোর সঙ্গে রাত্রীকালীন ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে বাতির সংযোজন ঘটানো হচ্ছে বরিশাল বিমানবন্দরের। ফলে বোয়িং-৭৩৭ এর মতো বিশালাকৃতির উড়োজাহাজ নিরাপদে অবতরণ ও উড্ডয়ন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

আর এতে করে এ বিমানবন্দরে ফ্লাইটের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি আকাশপথে যাত্রীদের সংখ্যাও বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে বরিশাল বিমানবন্দরের আয়।

বরিশাল বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৩৪ বছর আগে নির্মিত এই বিমানবন্দরে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান, বেসরকারি বিভিন্ন এয়ারলাইন্স সংস্থা মিলিয়ে সপ্তাহে ১৫টি ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। আর এর সবগুলোই বরিশাল-ঢাকা রুটে। যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ সপ্তাহে ৫টি, নভোএয়ার ৭টি ও ইউএস-বাংলা ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যেখানে বছরখানিক আগেও সপ্তাহে ৪/৫ দিন মাত্র ৭/৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হতো।

আবার হিসেবে অনুযায়ী দিনে দিনে এ এয়ারপোর্টে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। শুধু আগস্ট মাসের হিসেব অনুযায়ী বরিশাল বিমানবন্দর থেকে ৪ হাজার ২০৮ জন যাত্রী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন। বছর দুই আগেও এর সংখ্যা অর্ধেকের মতো ছিলো।

সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১৬০ দশমিক ৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ছয় হাজার ফুট এবং প্রস্থ ১০০ ফুট। যেখানে এটিআর ৭২-৫০০, ড্যাশ-৮-কিউ-৪০০ মডেলের মতো উড়োজাহাজ চলাচল করছে। যেগুলো ৬৫-৭২ জন যাত্রী বহনে সক্ষম।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়ের বর্তমানে যে দৈর্ঘ্য রয়েছে সেটি মূলত ‘সি’ গ্রেডের। আর সেখান থেকে রানওয়েকে ‘বি’ গ্রেড অর্থাৎ ৮ হাজার ফুট দৈর্ঘ্য ও দেড়শ ফুট প্রস্থ করা হবে। যার দাপ্তরিক কাজ প্রায় শেষের পথে। আর এ কাজের সঙ্গেই রানওয়েতে প্রতি ৬০ ফুট পরপর বাতি লাগানো হবে। যার সহায়তায় বিমানবন্দরটিতে রাত্রীকালীন ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, রানওয়ে বৃদ্ধিতে যে জায়গার প্রয়োজন হবে, তা এখন রয়েছে। তবে ‘এ’ গ্রেডে অর্থাৎ ১০ হাজার ফুটে উন্নীত করতে গেলে সেক্ষেত্রে নতুন করে জায়গা অধিগ্রহণ করতে হতে পারে।

এদিকে বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বিমানবন্দরে রাত্রীকালীন ফ্লাইট চালু করা। এ বিষয়ে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ বলেন, পায়রা বন্দর, পর্যটন নগরী কুয়াকাটা, বরিশাল ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বরিশালে দিনে দিনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ছে। আর সময় স্বল্পতার কারণে মানুষ আকাশপথকেই বেছে নেবেন।

তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে এখন যেমন এয়ারলাইন্সগুলো নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে, তেমনি যাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে। তাই বরিশাল অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ বিমান বন্দরটিতে রাত্রীকালীন ফ্লাইটসহ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের ব্যবস্থা চালুর দাবি বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের। রাত্রীকালীন ফ্লাইটের ব্যবস্থা চালু হলে বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ এ বিমানবন্দরটিতে আরো যাত্রী সমাগম ঘটবে। যাতে উন্মোচন হবে নতুন নতুন ব্যবসার দ্বার। প্রসার ঘটবে পর্যটনের।