রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুঁজি ছাড়াই এসব ব্যবসায় হোন লাখপতি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে আপনাকে উদ্যোগী হতে হবে। আর উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য ঠিক করতে হবে কী দিয়ে শুরু করবেন। কিছু কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো বিনা পুঁজিতে শুরু করা যায়। এ ধরনের উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে ডেইলি বাংলাদেশের আজকের আয়োজন। 

১. টিউশনি করানো
টিউশনি করে আপনি যথেষ্ট ভালো আয় করতে পারবেন। এতে কোন পুজিঁর দরকার হয় না। এছাড়াও টিউশনি করালে আপনার চাকরির প্রস্তুতিও অনেক ভালো হবে। 

 

২. ইউটিউব চ্যানেল
অনলাইনে আয় করার আরও একটি সহজ উপায় ইউটিউব চ্যানেল। শিক্ষামূলক থেকে রান্না শেখানো, লাইফ হ্যাকস্ থেকে বেড়ানো, বিষয় হতে পারে যেকোনো। চ্যানেলের ফলোয়ার বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। স্মার্টফোনে ভিডিও তুলেও আপলোড করতে পারেন চ্যানেলে। তবে শব্দ ও ছবির গুণমান ভাল হওয়া জরুরি। ভিডিওর যথেষ্ট ভিয়্যু হলে বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা পাবেন।

৩. হোম ডেলিভারী
আপনি কি জানেন, হোম ডেলিভেরী দিয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। বিনা বিনিয়োগে আপনি সহজে হোম ডেলিভারী ব্যবসা করতে পারেন।

৪. সাইবার ক্যাফের ব্যবসা
সাইবার ক্যাফে থেকে আপনি দিনে খুব সহজে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন। যা শুরু করার জন্য লাগবে একটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, আর ইন্টারনেট কানেকশন। সাইবার ক্যাফে ব্যবসা যদি আপনি গ্রামের দিকে শুরু করতে পারেন তবে আপনি অনেক বেশি লাভবান হবেন। এছাড়া এসব ব্যবসায় কোনো পুঁজি লাগে না।

 

৫. বডি বিল্ডিং ট্রেনিং
যদি আপনার বডি বিল্ডিংয়ে আগ্রহ থাকে তবে আপনি এক বছরের বডি বিল্ডিংয়ের কোর্স করে নিতে পারেন। এরপর নিজে বডি বিল্ডিং সেন্টার খুলে ট্রেনিং দিতে থাকুন। 

৬. মোবাইল এবং ল্যাপটপ সারানো
ল্যাপটপ ও মোবাইলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। তাই মোবাইল এবং ল্যাপটপ সারানোর ব্যবসা খুবই লাভজনক। এ ব্যবসায় আপনাকে কোনো বিনিয়োগ করতে হবে না। বিনা খরচে এ ব্যবসা করে খুব লাভ করতে পারবেন।

৭. এসি ও রেফ্রিজারেটর সারানো
আপনি এসি এবং রেফ্রিজারেটর সারানো শিখে এর ব্যবসা শুরু করেন। এসব ব্যবসা করতে আপনাকে কোনো বিনিয়োগ করতে হবে না।

৮. ইমেজ সেলিং ব্যবসা
আপনার কাছে যদি ভাল ক্যামেরা থাকে তবে আপনি ইমেজ সেলিং বিজনেজ শুরু করতে পারেন। বহু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ইমেজ কিনে নেয়। আপনি যেকোনো ওয়েব সাইটে রেজিস্টেশন করে ইমেজ সেলিং বিজনেস শুরু করতে পারেন।

 

৯. অনুবাদের ব্যবসা
দুটি বা তার বেশি ভাষা জানা থাকলে অনুবাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পৃথিবীজুড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের অনুবাদের প্রয়োজন পড়ে, তা হতে পারে আইনি কাগজ বা মেডিক্যাল নথি, অথবা মোবাইল অ্যাপ বা গেমিং। এছাড়াও পাওয়া যায় সিনেমা বা টিভি সিরিজের সাবটাইটেল অনুবাদ করার কাজ। প্রতিটির জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা থাকা প্রয়োজন, প্রয়োজন সেই বিষয়ের শব্দ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান। ঘরে বসে ইন্টারনেটে ব্যবসা করে আয় হবে ভালই। অনুবাদ এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে নিয়মিত কাজ পাওয়া যাবে।

১০. ওয়েডিং প্ল্যানার
বিয়েবাড়ি ভাড়া করা থেকে ডেকরেশন, খাওয়া দাওয়া থেকে বিয়ের কার্ড ছাপান, কনের সাজ থেকে ফটোগ্রাফি বিয়ের ঝক্কি অনেক। আজকের ছোট পরিবার আর ব্যস্ততার যুগে এই সব কাজ সুষ্ঠভাবে করার লোক কমে আসছে। অথচ এই বিশেষ দিনটির জাঁকজমক নিয়ে আপস করতে চান না কেউই, আর তাই বাড়ছে ওয়েডিং প্ল্যানারদের চাহিদা। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম এই ব্যবসা।