ইসরায়েলে চলছে সাধারণ নির্বাচন, পরীক্ষার মুখে নেতানিয়াহু
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলে আজ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিজেদের নেতা নির্বাচীত করতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন ভোটাররা। গত পাঁচ মাসের মধ্যে দেশটিতে এটি দ্বিতীয় দফা সাধারণ নির্বাচন। এর আগে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কোনও পক্ষ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ কিংবা জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম একই বছরে দুইটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে ১২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মোট ৩১টি দল। মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ১১ হাজার ১৬৩। নির্বাচনে মূল দুই প্রতিদ্বন্দী হচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজ। ডানপন্থী লিকুদ পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন নেতানিয়াহু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বেনি গান্টজ মধ্য ডানপন্থী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি’র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সর্বশেষ জনমত জরিপ অনুসারে এবারের নির্বাচনেও নেতানিয়াহুর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডো লিবারম্যানের সঙ্গ ছাড়া সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া তার জন্য বেশ কঠিন হবে।
গত ৯ এপ্রিল নির্বাচনের পর নেতানিয়াহুর সরকারে থাকতে অস্বীকৃতি জানান ক্ষমতাসীন জোটের এ শরিক। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনেও কিং মেকার বা সরকার গঠনের মূল নিয়ামকে পরিণত হতে পারেন তিনি।
জরিপ অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে নেসেটের (ইসরায়েলি সংসদ) ১২০টি আসনের মধ্যে নেতানিয়াহুর দল পাবে ৫৮টি। লিবারম্যানের ‘ইসরায়েল বেইতেনু’ পাবে আটটি, যা গত এপ্রিলের নির্বাচনের চেয়ে অন্তত তিনটি বেশি। অপরদিকে, বেনি গ্যান্টজের নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী জোট কমপক্ষে ৫৩টি আসনে জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া, ১২ শতাংশ ভোটার এখনো নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
শুধু জোটের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তিগতভাবেও দুর্ভাগ্য তাড়া করছে ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে। ইরান ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে উচ্চাভিলাষসহ বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যদিও, এসব অভিযোগ সত্ত্বেও জনগণের কাছে এখনো বেশ জনপ্রিয় নেতানিয়াহু। তাই, নির্বাচনে জনপ্রিয়তা নাকি বাস্তবতা জয়লাভ করবে, তা জানা যাবে শিগগিরই।
স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ভোটগ্রহণ শেষে নতুন জোট সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হতে পারে।