সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আন্তরিক সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেশাদারিত্ব ও মানবিকতার সঙ্গে মানুষের চিকিৎসা সেবা দিন। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যা যা প্রয়োজন, তা সব করতে আন্তরিক সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজই হচ্ছে মানুষের জন্য কাজ করা, জনগণকে সেবা দেয়া। আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিষয়ভিত্তিক ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। সেখানে নার্স লাগবে।

 

বুধবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুরে তেতুইবাড়ি এলাকায় অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশে একটি প্রথম আন্তর্জাতিকমানের নার্সিং কলেজ। এ নার্সিং কলেজ থেকে যেসব শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন করলেন তারা সবাই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা নিয়েছেন। তাদের দেখে অনেক তরুণ-তরুণী এ নার্সিং পেশায় আসতে আগ্রহী হবে। মানুষের সেবা করার জন্য নার্সিং একটা মহৎ পেশা। আর্তমানবতার সেবায় অভিজ্ঞতা ও অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে গ্র্যাজুয়েট নার্সদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যখন প্রথম সরকার গঠন করি তখন থেকেই দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছি। এজন্য ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কমিউনিটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করি। সাতটি নার্সিং ইন্সটিটিউটকে কলেজে উন্নীত করে সেখানে বিএসসি কোর্স চালু করি। আরো ১৫টি কলেজ প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। এরসঙ্গে সাতটি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছি।

 

তিনি বলেন, নার্সিং হলো সবচেয়ে সম্মান জনক পেশা। একজন মানুষকে সেবা করার মাধ্যমে সুন্দর জীবনে ফিরিয়ে আনার মতো আনন্দ আর কি হতে পারে? এই মহৎ পেশায় যুক্ত হতে মানুষ যেন আগ্রহবোধ করে এজন্য আমাদের সরকার নার্সদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার পর ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে এই সেবা বন্ধ করে দেয়। এর যুক্তি হিসেবে তারা বলে, কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষ সেবা নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দিবে। অথচ প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য চালু করা এই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমটি খুব দরকারি। এখানে দরিদ্র মানুষেরা সহজেই সেবা পেয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় প্রসূতি নারী ও শিশুরা। 

অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সহসভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের সিইও মো. তৌফিক বিন ইসমাইল।

 

এছাড়া গ্র্যাজুয়েশন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মালয়েশিয়ার স্কুল অব মেডিসিন কেপিজে হেলথ কেয়ার ইউনির্ভাসিটি কলেজের উপাচার্য ও ডিন প্রফেসর দাতো ডা. লোকমান সাঈম। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।