স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
মিশরের স্বৈরশাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে এবং তা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটির বন্দরনগরী সুয়েজে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পার্সটুডের।
জানা গেছে, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস এবং তাজা গুলি ব্যবহার করেছে।
তবে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচণ্ড বাধা উপেক্ষা করে সুয়েজ শহরে শতশত বিক্ষোভকারী জেনারেল সিসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। সুয়েজ শহরের একজন অধিবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিরাপত্তা বাহিনী এত বেশি মাত্রায় টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে যে, তাতে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে রাতের বেলায় ঘরের ভেতরে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়েছিল।
সুয়েজ শহর ছাড়াও রাজধানী কায়রো, গিজা এবং উত্তরাঞ্চলীয় মাহাল্লা শহরে রাতের বেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে, রাজধানী কায়রোর তাহরির চত্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই তাহরির চত্বরে থেকেই ২০১১ সালে মিশরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে প্রবল গণআন্দোলন গড়ে তোলা হয় যার ফলাফল হিসেবে হোসনি মোবারক ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
এদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য মিশরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল সিসি নিউইয়র্কের যে ভবনে অবস্থান করছেন সেখানে বহু মিশরিয় নাগরিক বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভকারীরা জেনারেল সিসির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান।
মিশরের চলমান বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় এরই মধ্যে প্রায় একশর মতো মানুষকে আটক করা হয়েছে। সিসি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে জনগণ এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন।
২০১৩ সালে মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে জেনারেল সিসি ক্ষমতা দখল করেন।