রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারতে এনআরসি নামক বিষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: গোপাল শেঠ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৪১ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

পশ্চিমবঙ্গের সাবেক তৃণমূল বিধায়ক গোপাল শেঠ বিজেপিকে টার্গেট করে বলেছেন, ভারতে এনআরসি নামক বিষ ছড়ানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদায় এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।  

গোপাল শেঠ বলেন, ‘রাজ্যবাসীর সামনে এক সমূহ বিপদ আসছে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে বলছি, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নামক বিষ গোটা ভারতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাঙালিদের উৎখাত করার চেষ্টা হচ্ছে। এজন্য প্রত্যেককে শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। উনি প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন বাংলায় কোনোভাবেই এটা চালু করবেন না।’

গোপাল শেঠ বলেন, ‘এনআরসি থেকে যাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে তাদের নাম কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। সেই লক্ষ্যে প্রত্যেক ক্লাব, প্রত্যেক মানুষকে তাদের নিজেদের স্বার্থে, কোনও বৃদ্ধা মাকে যেন আধার কার্ড, আইকার্ড দরজায় দরজায় না ঘুরতে হয় সেজন্য এগিয়ে আসতে হবে। এনআরসির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাঠে নেমেছেন।’  

 

তিনি বলেন, ‘ভোটে কে কি করবেন সেটা পরের ব্যাপার। কিন্তু এই আন্দোলনে আমাদের সকলের যুক্ত থাকতে হবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ডাক দিয়েছিলেন, তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো। একইভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, তোমরা আমার সঙ্গে পায়ে পায়ে হেঁটে চলো, আমি তোমাদের এখানে এনআরসি বন্ধ করে দেবো। আসুন আমরা সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দলমত নির্বিশেষ প্রতিবাদে গর্জে উঠি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখি।’


গোপাল শেঠ বলেন, ‘আসামে এরআগে এনআরসি থেকে যে চল্লিশ লাখ লোকের নাম বাদ দেয়া হয়েছিল, আমার আইনি প্রচেষ্টাতে তাঁরা ভোট দিতে পেরেছিল। বর্তমানে যে ১৯ লাখ লোকের নাম বাদ পড়েছে যারা গরীব মানুষ, যারা আবেদন করতে পারেননি অথচ ভোটার তালিকায় নাম ছিল, তাঁদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।’ 

এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে গোপাল শেঠ বলেন, ‘এনআরসির বিরুদ্ধে আমি রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্র দফতর, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। বাংলার মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমি ছুটে যাচ্ছি সুপ্রিম কোর্টে। হয়ত আমাকে গ্রেফতার হতে হবে, আমিই হয়ত প্রথম শহীদ হবো। কারণ আমি ওই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে লড়তে যাচ্ছি। এজন্য আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করুন, দোয়া করুন সেই কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে করে আসতে পারি।’