রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শারদীয় দূর্গা পূজায় পাঁচ দিনে পাঁচ রূপ!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

শারদীয় দূর্গা পূজা দেখতে দেখতে দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। তাই শুরু হয়ে গেছে মহোৎসবের আয়োজন। তবে মূল পূজার উৎসব চলে পাঁচ দিনব্যাপী। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। তাইতো প্রতিটা দিনেই ভিন্ন ভিন্ন সাজে নিজেকে সাজাতে ব্যাস্ত নারীরা।  

তাই পাঁচ দিনের এই আয়োজনে প্রত্যেক কয়টা সাজে ঘুরেফিরে সেই একই রূপে না থেকে সাজুন ভিন্ন ভিন্ন ধাঁচে। এক দিনের সাজ থেকে আলাদা থাকুক আপনার অন্যদিনের সাজটি। শাড়ির সঙ্গে ভিন্নতার ছোঁয়া থাকুক সব কয়টা দিনের সাজে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক আপনার পাঁচ দিনের পাঁচ রকম রূপ কেমন হবে-

 

স্নিগ্ধতায় পূর্ণ থাকুক ষষ্ঠী

স্নিগ্ধতায় পূর্ণ থাকুক ষষ্ঠী

স্নিগ্ধতায় পূর্ণ থাকুক ষষ্ঠী
ষষ্ঠী পূজার দিনে ছিমছাম সাজ মানিয়ে যাবে ভালো। পূজার শুরুতেই ঘুরে না বেড়িয়ে বেশিরভাগ মানুষ নিজের পরিবারে সময় দিয়ে থাকে, মন্ডপে প্রতিমা দেখতে বের হয়। হালকা সাজে তাই এই দিনটা কাটানো চলে। পোশাকে তাঁতের শাড়ি বেছে নিন পছন্দ মতো রঙের। উজ্জ্বল কিন্তু মিষ্টি রঙ প্রাধান্য পাবে এই সময়ে। শরতের ঝকঝকে আসমানি রঙের শাড়িতে জড়াতে পারেন নিজেকে। উপাদান নরম সুতি বা জর্জেট রাখতে পারেন বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে। এই শাড়ির সঙ্গে সাদা মুক্তোর কয়গাছি মালা, চুলে বেলি বা চাঁপাফুল আর হাতে এলোমেলো চুড়ির দল, দারুণ মানাবে আপনার ষষ্টীর সাজে।

 

 

রঙিন রূপ সপ্তমীতে

রঙিন রূপ সপ্তমীতে

রঙিন রূপ সপ্তমীতে  
সপ্তমীতেই সাজে আনুন বদল। বদলটা চোখে পড়ার মতো হওয়া চাই। উজ্জ্বল কোনো রঙ বাছুন শাড়িতে, সবুজ, টিয়া রঙ, কমলা বা লালচে কোনো রঙ। এক রঙের শাড়ি আর প্রিন্টের বা লেইস বসানো ব্লাউজ পরা যায় এই দিন। আগের দিন খোঁপা হলে সেদিন বেণি চলবে, কিংবা ছেড়ে দেয়া চুলেই এক পাশে ফুল গুঁজে দিন। কানে বড় ঝোলা দুল আর হাতে চুড়ি, গলা না হয় খালিই থাকুক। সপ্তমীতে ঘুরে বেড়ানো হলে গয়না হালকা রাখাই ভালো।

 

মিষ্টি সাজে অষ্টমী

মিষ্টি সাজে অষ্টমী

মিষ্টি সাজে অষ্টমী
কখনোই পরা হয়নি সেই রঙটা বেছে নিন অষ্টমীতে। হতেই পারে নিজেই নিজেকে চমকে দিচ্ছেন। ছাই, গাঢ় নীল, বেগুনি কিংবা বাদামি, রঙ বাছাই করা চলবে এমন কিছু। সঙ্গে সাবেকী গয়না পরা যায় ভিন্নমাত্রা আনতে। চুল পরিপাটি করে বেঁধে রাখুন। গয়না পরতে পারেন চুলেও, ঝুমকো দেয়া কাঁটা বেশ মানাবে। সঙ্গে নাকফুল বা নথ আরো নজরকাড়া করবে আপনাকে।

 

 

উচ্ছলতায় ভরপুর নবমী

উচ্ছলতায় ভরপুর নবমী

উচ্ছলতায় ভরপুর নবমী
নবমীর দিন নেমন্তন্ন থাকে প্রচুর, থাকে নিজের ঘরে অতিথি আপ্যায়নের পালাও। সাজগোজে তাই উৎসবের ভাব ফুটে থাকুক ষোলোআনা। গোলাপি জামদানিটা পরে ফেলুন নবমীতেই। কিংবা মেরুন রঙের সিল্কের শাড়িটা। ভারী গয়না আর সাজে আভিজাত্য নিয়ে আসুন নবমীর উপলক্ষে। একপাশে সিঁথি টেনে এলোখোঁপা মানিয়ে যাবে, তাতে পাথরের অনুষঙ্গ জমকালো ভাব যোগ করবে আরো।

 

বিদায়ী সাজ দশমীতে

বিদায়ী সাজ দশমীতে

বিদায়ী সাজ দশমীতে
দেবী বিদায়ের পালা এলে মনে আনন্দের সঙ্গে কষ্টও থেকে যায়। তার মাঝেই চলে উৎসবের সমাপনী আয়োজন। এই দিনে সাবেকী লাল পেড়ে সাদা শাড়িই চলুক? সঙ্গে জরির আরেকটা পাড় যোগ হলে আরো দারুণ দেখাবে শাড়িটা। হালকা সোনার গয়না মানানসই বিসর্জনের দিনের সাজে থাকুক। চুল খোলাই রাখুন, কাজল আর লাল টিপের চারপাশে চুলের মেঘ মন্দ দেখাবে না।

 

কি জেনে নিলেন তো পাঁচ দিনের ভিন্ন ভিন্ন সাজের কথা। তাহলে এবারের দূর্গা পূজাকে আরো বেশি বিশেষ করে তুলুন। আর উৎসবের প্রতিটি দিন আনন্দে কাটান।