সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজধানীসহ সারাদেশে দুদকের ছয় অভিযান

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

রাজধানীসহ সারাদেশের ছয় স্থানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার এসব অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরের ইপিআই ইউনিটে গাড়ি মেরামতের ভুয়া ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুদক টিম জানতে পারে- মেরামত ছাড়াই প্রতিটি গাড়িতে তিন হাজার ৬০০ থেকে তিনি হাজার ৮০০ টাকা বিল নেয়া হচ্ছে। যাচাই–বাছাই ছাড়াই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ওই সব বিল পাস করে দিচ্ছেন। অভিযানে এই দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুরজাহান পারভীনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।

 

দুদক জানিয়েছে, অভিযান চালানোর সময় তারা প্রকল্পের চারটি গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, প্রতিটি গাড়িতে মেরামত বাবদ নিয়মিতভাবে বিল করে টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে ভাউচারে উল্লিখিত একটি ওয়ার্কশপে ফোন করে জানা যায়, ওই দোকানে কোনো গাড়িই মেরামত করা হয়নি। সার্বিক বিবেচনায় দুদকের দলটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আর কর্মকর্তারা কোনো ধরনের যাচাই–বাছাই ছাড়াই বিল পাস করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য কমিশনে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দেবে দুদকের অভিযান পরিচালনাকারী দলটি।

 

 

এদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়েছে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়। সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে দুটি অভিযান চালানো হয়। দুদকের হটলাইনে অভিযোগ আসে, সোনাইমুড়ী উপজেলায় সোনাইমুড়ী জিসি, জমিদারহাট জিসি ভায়া কাশিপুর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। সরেজমিনে দুদক দল দেখতে পায়, সড়কের দুই পাশে পর্যাপ্ত মাটি না দেয়ার কারণে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ না করে ফেলে রাখা হয়েছে এবং এর ওপরে কোনো পাটাতন না দেয়ায় জনগণের যাতায়াতের দুর্ভোগ হচ্ছে।

 

সোনাইমুড়ীর চাষীরহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাজার হুনাফা খাতুন উচ্চবিদ্যালয় থেকে শাহারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে একই দল অভিযান চালায়। অভিযানে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে দেড় ফুট করে মাটি দেয়ার কথা থাকলেও মাটি না দিয়ে কাজ শেষ হয়েছে।

দুদকের দলটি দুটি সড়ক নির্মাণ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে। অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাবে দলটি।

 

 

অন্যদিকে, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় সড়ক মেরামতে ব্লক প্রতিস্থাপনে অনিয়মের অভিযোগে সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুদক। দুদকে অভিযোগ আসে, নাগরপুর উপজেলার ভদ্রা থেকে ধুনাইল পর্যন্ত রাস্তায় সঠিকভাবে ব্লক প্রতিস্থাপনের কাজ না করায় এক মাসের মধ্যে সড়ক ভেঙে গেছে। অভিযোগ পেয়ে টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়ক মেরামতে অত্যন্ত নিম্নমানের ব্লক ব্যবহৃত হয়েছে। দলটি মেরামত সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে। তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী দল।

এছাড়া পাবনা পাসপোর্ট অফিসে ভুল সংশোধন, ফরম জমা, ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণে অবৈধ অর্থ আদায় ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে এবং পাবনা পৌরসভা কর্তৃক সড়ক সংস্কার ও ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুটি অভিযান চালায়।