সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘মনের মত স্কুল পেলে,শিখব মোরা হেসে খেলে’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৪৭ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

 ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস। মীনা চরিত্রটি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল তথা দক্ষিণ এশিয়ার মেয়ে শিশুদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি বালিকা চরিত্র। জনপ্রিয় কার্টুন ‘মীনা’ নামের বালিকা চরিত্রটি মেয়ে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী মিনা দিবস উদযাপন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা।

মীনা দিবসে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা থিম নিয়ে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘মনের মত স্কুল পেলে,শিখব মোরা হেসে খেলে’।

 

বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরেপড়া রোধের লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজ উদযাপিত হবে ‘মীনা দিবস’। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্য বিয়ে, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম রোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করা ও কার্যকরী বার্তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘মীনা’ চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মীনা কার্টুন শুধু বাংলা ভাষায় তৈরি হয়নি। হিন্দি, উর্দুসহ ২৯টি ভাষায় মীনা তৈরি হয়েছে। প্রথমে মীনার ১৩টি পর্ব বানানো হয়েছিল। প্রচার করা হয় সার্কভুক্ত সাতটি দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। এখন মীনার ২৭টি পর্ব রয়েছে। মীনার কার্টুন ছবি নিয়ে ২৩টি কমিক বইও বের হয়েছে। এসব বইও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের ওপর টেলিভিশন ও বেতারের জন্য স্পট তৈরি করা হয়।
দারিদ্র, কুসংস্কারে আচ্ছন্ন এই সমাজে সবচেয়ে বেশি দুর্দশাগ্রস্থ মেয়েরা। মেয়েদের সমস্যার প্রতি মনোযোগের সঙ্গে গুরুত্ব প্রদান ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা উপলব্ধি থেকে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা পরিষদ ১৯৯০ দশকে কন্যা শিশু দশক হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এই ঘোষণার আলোকে দক্ষিণ এশিয়ার ইউনিসেফ এবং তার সহযোগীদের মিলিত উদ্যোগে মিনাকার্টুন শিক্ষা উপকরণ তৈরি করা হয়। ফিলিপাইনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যানিমেশন স্টুডিও হান্না বারবারায় ১৯৯২ সালে মীনা কার্টুনের প্রথম বেশ কয়েকটি পর্ব নির্মাণ করা হয়। এরপর ভারতের রামমোহন স্টুডিওতে নির্মাণ করা হয় মীনা কার্টুন। ইউনিসেফ ও বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস প্রথম রেডিওর জন্য মীনা সিরিজ তৈরি করে। ১৯৯২ সালে একজন ১০ বছর বয়সী বালিকা হিসেবে মিনা চরিত্রের সৃষ্টি। এই চরিত্রির মাধ্যমে শিশুদের অধিকার, শিক্ষা, সাংস্কৃতি, বিনোদন, শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার চিত্র ফুটে ওঠে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মেয়ে শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ হিসেবে বেছে নেয়া হয় মীনা চরিত্রটি ।

বাংলাদেশের প্রথম ১৯৯৫ সালে বিটিভিতে মিনা কার্টুন দেখানো শুরু হয়েছিল তারপর থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকের কাছে নিয়ে দারুণ জনপ্রিয় । বাংলাদেশ টেলিভিশনে মীনা কার্টুন দেখানোর পাশাপাশি রেডিওতে প্রচারিত হয় মীনার অনুষ্ঠান।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও মিনা দিবস উদযাপন উপলক্ষে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মীনা বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।