সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ, এডিবি’র প্রতিবেদন

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:১২ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০১৯’-এর হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক।  প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০১৯-২০অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।  

এ প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে শিল্প খাত। বুধবার রাজধানীল আগারগাঁওয়ে এডিবির ঢাকা আবাসিক মিশন কার্যালয়ে হালনাগাদ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা  হয়।

স্বাগত বক্তব্য দেন এডিবি ঢাকা মিশনের প্রধান মনমোহন প্রকাশ। আর মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার অর্থনীতিবিদ সন চ্যাং হং।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক ও বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রফতানি বাড়বে। এর পাশাপাশি উচ্চতর প্রবাসী আয়ের কারণে বাড়বে ভোগব্যয়। একইসঙ্গে সহজ মুদ্রানীতির কারণে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহও বাড়বে। ব্যবসায় পরিবেশ উন্নত করতে চলমান সংস্কার এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের সুবাদেও বাড়বে প্রবৃদ্ধি। একই সময়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন ও ভ্যাটের আওতা বাড়ার কারণে পণ্য ও সেবার দাম বাড়বে বলে মনে করে এডিবি। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। রেমিট্যান্স প্রবাহ, সহজ মুদ্রানীতি, বেসরকারি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে সংস্কার কার্যক্রম, অবকাঠামো খাতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ার কারণে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। 

সেইসঙ্গে দুর্নীতি বিরোধী চলমান অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সুশাসনের জন্য এটা খুবই ফলপ্রসু হবে। এর ফলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। থেমে গেলে হবে না। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি ও অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত মূল এশিয়ান ডেভলপমেন্ট আউট লুকে বলা হয়েছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। 

চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। কোরিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ। সিঙ্গাপুরের প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৪ শতাংশ, যা মূল পূর্বাভাসে ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে সব মিলিয়ে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, যা মূল প্রতিবেদনের পূর্বাভাসে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে কৃষিখাতের অংশ থাকবে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি এবং ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।

আউটলুক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধি হবে ১০ শতাংশ। এক্ষেত্রে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে সেখান থেকে সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।