শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৭ ১৪৩১   ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

কলকাতায় কোণঠাসা বাংলা সিনেমা

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

আসন্ন দূর্গাপূজায় কলকাতায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে চারটি বাংলা ছবি। কিন্তু অন্যান্য বারের মতো টলিউডের বাংলা সিনেমা এবার একাধিপত্য বজায় রাখতে পারছে না। দু’টি বড় বাজেটের হিন্দি ছবি এবং একটি হলিউড সিনেমাও রয়েছে মুক্তির তালিকায়। স্বাভাবিক ভাবেই হল ভাগাভাগিতে হিন্দি সিনেমা এগিয়ে যাচ্ছে। দু’টি হিন্দি ছবির মধ্যে হৃতিক রোশন-টাইগার শ্রফের ‘ওয়র’ই অনেকটা জায়গা দখল করে নেবে বলেই ধারণা পশ্চিমবঙ্গ সিনেসংশ্লিষ্টদের। 

এই পরিস্থিতিতে টলিউডের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, অবস্থা সামাল দেয়ার জন্য। মাল্টিপ্লেক্স চেন এবং অন্যান্য হল মালিকেরা যাতে হিন্দি-বাংলা ছবির মধ্যে হল ভাগের ক্ষেত্রে সমানুপাত বজায় রাখেন, সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমারের তরফে সেই নির্দেশিকা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই হল মালিকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন নায়ক ও সাংসদ দেব। 

তিনি বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে সিনেমার বর্তমান অবস্থাটা জানাই। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি সব সময়ে প্রতিবাদ করি। বাংলা ছবি জায়গা পাচ্ছে না, সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেই, লেখাটা তাকেও পাঠাই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন। 

 

দেব আরো বলেন, আমার সঙ্গে উদ্যোগ নিয়েছিলেন নির্মাতা অরিন্দম শীলও। চারটে বাংলা ছবি তিনটে করে শো পেলে টলিউডের ব্যবসা লসে এসে দাঁড়াবে। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করি। দেখবেন, যদি বাংলা আর হিন্দি ছবি একই রকম হল পায়, তাহলে বাংলা ছবিই বেশি ব্যবসা করবে। 

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মালিকরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে কোনো চিঠি পৌঁছায়নি। তবে এখনো চূড়ান্ত নয় কলকাতার বাংলা ছবি গুলো হল পাবে কিনা বা কোন ছবি কয়টি হল পাবে। হিন্দি-বাংলার টক্করে কে কতোটা হল পাচ্ছে তা জানা যাবে আগামী শুক্রবার।

এদিকে গেল সপ্তাহে আরো শোচনীয় পরিস্থিতিতে পড়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিটি। যেই ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপরাজিতা ঘোষের মতো অভিনেতারা। এরপরেও হল না পাওয়ায় মুক্তি পায়নি সিনেমাটি। 

পরিস্থিতি যখন এমন তখন টলিউডের অনেকেই এই বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছেন। কলকাতার বাজারেও বাংলা সিনেমা হল পাচ্ছে না, শূন্যতাটা কোথায়, সেটা সবার অজানা। তবে সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তারা। অনেকের মন্তব্য এভাবে চলতে থাকলে হিন্দি সিনেমার চক্রের শিকার হয়ে আঞ্চলিক ভাষা-সংস্কৃতিগুলিও বিলুপ্ত হতে বেশি সময় নেবে না।