উত্তর কোরিয়ার চেয়েও বড় হুমকি চীন: জাপান
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার
চীনের সামরিক শক্তিবৃদ্ধির কারণে ভীষণ চিন্তায় পড়েছে এশিয়ার অন্যতম ধনী রাষ্ট্র জাপান। তাদের মতে, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসী আচরণের চেয়েও চীনের বর্ধিষ্ণু সামরিক বাহিনী জাপানের জন্য বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে।
দেশটির বার্ষিক প্রতিরক্ষা পর্যালোচনায় এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই পর্যালোচনায় পিয়ংইয়ংয়ের হাতে পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক খাতে বেইজিংয়েরর ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ এবং চীন সাগরে নানামুখী তৎপরতাই দেশটিকে প্রথমবারের মতো টোকিওর প্রতিরক্ষা শ্বেতপত্রে দ্বিতীয় স্থানে তুলে এনেছে। খবর রয়টার্সের।
জাপানের সামরিক এই পর্যালোচনায় এখনও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানই শীর্ষে; স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার ‘প্রধান হুমকি’ রাশিয়ার স্থান হয়েছে ৪ নম্বরে। ‘যুক্তরাষ্ট্র আর চীনই যে কেবল বিশ্বজুড়ে তাদের প্রভাব প্রদর্শন করতে পারে, এই পর্যালোচনায় তা প্রতিফলিত হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
পর্যালোচনায় বেইজিংয়ের সামরিক আগ্রাসন ঠেকাতে গত সাত বছরে জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয় ১০ শতাংশের মতো বেড়েছে বলে জানানো হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ওয়ারহেডবাহী ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে টোকিও যেসব সরঞ্জাম কিনেছে, তা-ও ওই ব্যয়ের মধ্যে—প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
চীনের অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনীর তুলনায় এগিয়ে থাকতে জাপান এখন যুক্তরাষ্ট্রের বানানো স্টিলথ জঙ্গি বিমানসহ নানা ধরনের আধুনিক অস্ত্র কিনছে। দেশটির সেনাবাহিনী সর্বশেষ ১১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইয়েনে ৯টি স্টিলথ জঙ্গি বিমান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এই স্টিলথ জঙ্গি বিমান, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সরঞ্জাম এবং অন্যান্য অস্ত্র চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বর্ষে জাপানের রেকর্ড ৫ দশমিক ৩২ ট্রিলিয়ন ইয়েন প্রস্তাবিত সামরিক বাজেটের অংশ। এবারের এই বাজেট গত বছরের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
সেই তুলনায় চীনের এ বছরের সামরিক বাজেট আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ৭ শতাংশ বেড়ে ১৭৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এই খরচ জাপানের সামরিক ব্যয়ের তিন গুণেরও বেশি। বেইজিং এখন তাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য স্টিল জঙ্গি বিমান ও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার নিয়েও কাজ করছে।
এক সময় কেবল নিজেদের উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় মনোযোগী থাকা বেইজিং এখন জাপানের পশ্চিম দিকের ওকিনাওয়া দ্বীপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমে নিয়মিতই তাদের নৌ ও বিমান টহল দল পাঠাচ্ছে।