‘দেশে ২০৩০ সালের পর টেলিস্কোপ দিয়েও দরিদ্র পাওয়া যাবে না’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
বাংলাদেশে ২০৩০ সালের পর টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজেও দরিদ্র মানুষ পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে নতুন নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে এবং মানব সম্পদ সমৃদ্ধ হবে।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আান্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হার্নেসিং ব্লকচেইন টেকনোলজি ফর ডেভোলপমেন্ট’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, শিল্পখাতে খুব দ্রুত উন্নতি করতে হবে, দরকার হলে জনমিতির সুবিধা নিতে হবে। অবিশ্বাস্য গতিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
আশা প্রকাশ করে মুস্তফা কামাল বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে এক শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। এজন্য উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে, পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি আনতে হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলে এসেছে বলে ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সময়ে রোবোটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজি ভূমিকা রাখবে। সেখানে ব্লকচেইন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে ভূমিকা রাখবে।
এজন্য চাকরি চলে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কিন্তু চাকরি চলে যাবে, আবার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। তবে মানবসম্পদ সমৃদ্ধ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ-বৈভবে আকর্ষণবোধ করেন না। দেশের মানুষের ভালোবাসা তাকে আকৃষ্ট করে। প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষের উন্নতিতে কাজ করে চলেছেন।
এ অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিতে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল উল্লেখ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি এডিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট শতাংশ হবে।
তিনি বলেন, এডিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অগ্রগামী। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ হবে। এছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ভালো। প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে ২০ লাখ তরুণ যুক্ত হচ্ছে। জনমিতির সুবিধা নিতে পারলে উন্নতি আরো বেগবান হবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরিদা নাসরিন সহ অনেকে।