দুর্নীতিবাজদের জায়েজ করছে বিএনপি: ড. হাছান মাহমুদ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫৪ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দুর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান করছেন, বিএনপি তখন তাদের গঠনতন্ত্রের সপ্তম ধারা বাদ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের জায়েজ করছে। শুধু তাই না, সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এম এ মান্নান স্মরণে আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।
আ’লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান বদি প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আগে যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্যে হাওয়া ভবন করে সমস্ত ব্যবসা থেকে টোল আদায় করতো, খোয়াব ভবন করে আমোদ ফুর্তি করতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে দল-মতের উর্ধ্বে সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন, আর বিএনপি সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়ে সমস্ত দুর্নীতিবাজদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে। এখানেই হচ্ছে তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক এ গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন, আর বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রের সাত নম্বর ধারা বাদ দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সাত নম্বর ধারায় ছিল, কেউ যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয় বা দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়, কারো বিরুদ্ধে যদি এই সমস্ত অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তিনি তাদের দলের কোনো পদেই থাকতে পারবেন না। সেই সাত নম্বর ধারাটি বাদ দিয়ে বিএনপি সমস্ত দুর্নীতিবাজদের তাদের দল করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘আ’লীগ নেতারা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে মানে। আর বিএনপির কাছে রাজনীতি ব্রত নয়। তাদের কছে রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতা এবং ভোগ বিলাসের সোপান। আ’লীগ সৃষ্টি হয়েছে আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এ দলটির আজকের যারা জাতীয় নেতা, তাদের প্রত্যেকের পেছনে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস আছে। জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি করার অনেক ঘটনা আছে। যেটি বিএনপি নেতাদের নেই। বিএনপি গঠিত হয়েছে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে। রাস্তায় যখন খাবারের উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দেওয়া হয়, তখন অনেক কাক জড়ো হয় এই খাবার নেওবার জন্য। জিয়াউর রহমান আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভুক কাকদের সমন্বয়ে বিএনপির জন্ম।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আ’লীগের মধ্যে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে, পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে যারা আ’লীগের লেবাস পরে দলে অনুপ্রবেশ করেছিল, যাদের নৈতিক স্খলন ঘটেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, তিনি ক্যাসিনো বন্ধ করছেন, মাদক বন্ধ করছেন, অনিয়ম বন্ধ করছেন’, বলেন ড. হাছান।’
তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রয়াত চট্টগ্রামের নেতা এম এ মান্নানকে অত্যন্ত সৎ, সদালাপী, প্রাজ্ঞ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তার সম্পর্কে বলেন, ‘এই ধরনের নেতাদের স্মরণে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। নাহয় নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদরা শিখবে না। প্রয়াত নেতাদের সম্মান করতে হবে।’