‘ইত্যাদি’ এবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হাওড়ে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পর্যটন ও প্রত্নতাত্ত্বিক জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে গিয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্যধারণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যে সাজানো কিশোরগঞ্জের হাওড়ের মাঝখানে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা মিঠামইনের হামিদ পল্লীতে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কিশোরগঞ্জের অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে সাজানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি। ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে ভাটির দেশ কিশোরগঞ্জে ছিল উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নৌকা-ট্রলারে করে হাজার হাজার মানুষ আসতে থাকেন হামিদ পল্লীতে। হাওড়ের মাঝখানে ছোট্ট এই পল্লীটির চারিদিকে হাজার হাজার নৌকা-ট্রলারের সারি এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি করেছিল। আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ হাওড়ের পাড়ে দাঁড়িয়ে, নৌকা ও ট্রলারের ছাদে বসে ইত্যাদির ধারণ উপভোগ করেন। হাওড়ের মাঝখানে এ যেন জনসমুদ্র।
বাংলাদেশের যখন যে স্থানে ইত্যাদি ধারণ করা হয় সেই স্থানটির বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করেই মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। ফলে দর্শকরা যেমন ঐ স্থানটি সম্পর্কে জানতে পারেন, তেমনি নিত্য-নতুন লোকেশনের কারণে প্রতিবারই মঞ্চ নির্মাণেও আসে বৈচিত্র্য। এবারও হাওড় অঞ্চলের জীবন-জীবিকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে জলে ও ডাঙ্গায় শতাধিক নৌকা রেখে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক মঞ্চ।
সব সময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ইত্যাদি ধারণ করা হলেও এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়।
ফাগুন অডিও ভিশনের একজন মুখপাত্র জানান, তিন দশক পেরিয়ে চার দশকে পদার্পণ করেছে ইত্যাদি। সাধারণ মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, ভালোবাসার কারণেই ইত্যাদি এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। আমরাও সব সময় বলি ইত্যাদি সব বয়সের, সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান। কারণ একটি শিশুও যেমন ইত্যাদি দেখে, তেমনি তার দাদুও দেখেন। ইত্যাদিতে আমরা সবার কথা বলতে চেষ্টা করি। এবারে কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের হাওড় অঞ্চলে ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি বিষয় বৈচিত্র্য, স্থান নির্বাচন সবদিক থেকেই হয়েছে ব্যতিক্রমী ও উপভোগ্য হবে।
জানা গেছে, ইত্যাদির এই মিঠামইনের পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আগামী শুক্রবার রাত ৮ টার বাংলা সংবাদের পর। বরাবরের মতো ইত্যাদির রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। ইত্যাদি স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কসমেটিকস্ লিমিটেড।