দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে চান? জেনে নিন কিছু কার্যকরী টিপস
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার
সুখী হতে কে না যায়? দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য দুইজনেরই সমান সহযোগিতা আবশ্যক। কিন্তু চাইলেই তো আর সুখী হওয়া যায় না। সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে গেলে মেনে চলতে হয় অনেক শর্ত। এই শর্তগুলো মানতে পারলেই জীবন হয়ে ওঠে আনন্দময়।
একসঙ্গে থাকা মানেই কম বেশি খুনসুটি হওয়া। কিন্তু তাই বলে একসঙ্গে থাকা যাবে না তা কিন্তু নয়। তাই দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে চট জলদি জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী শর্তসমূহ-
একে অপরকে চিনুন
বিয়ের ক্ষেত্রে একে ওপরকে চেনাটা খুবই জরুরি। মটের অমিল হতেই পারে। দুজন আলাদা মানুষ, তাদের আলাদা চিন্তা ভাবনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জেরে অতিরিক্ত কিছুই করা ঠিক নেই। তাই এক অপরের কথা শুনুন এবং পরে মাথা ঠান্ডা হলে অপরকে বুঝিয়ে বলুন, দেখবেন ঝামেলা মিটে যাবে।
রাগকে সঙ্গে করে বিছানায় যাবেন না
মাথা গরম তো সকলেরই হয়। কিন্তু তা বলে এক মুখ রাগ নিয়ে বিছানায় গেলে কখনো দাম্পত্য আর সুখীর আখ্যা পাবে না। তাই বিছানায় যাওয়ার আগেই নিজের রাগকে ঝেড়ে তবেই বিছানায় যান।
ক্ষমা করতে শিখুন
মানুষ মাত্রই ভুল হয়ে থাকে। তবে সেই ভুলটাকে ধরে বসে থাকবেন না। মাথা ঠান্ডা করে স্বামী অথবা স্ত্রীকে ভুলটা ধরিয়ে দিন। তারপর তাকে ক্ষমা করে দিন। ক্ষমা করার ওপরে কোনো কথাই থাকতে পারে না। ক্ষমা করার পর এই ভুল নিয়ে আর কখনো কোনো কথা বলবেন না। ভুলের কথা সম্পূর্ণভাবে ভুলে যান।
চুপ করে থাকতে শিখুন
চুপ করে থাকা একটা বড় কাজ। বিবাহিত জীবনে মাঝে মধ্যে চুপ করে থাকলে কিছুই যায় আসে না। যখন ঝগড়া হয় একজন কথা বললে অন্য জন চুপ করে থাকার চেষ্টা করুন। একটু চুপ করে থেকেই দেখুন না কি হয়!
সদা আনন্দে থাকুন
নিজের বাবা-মাকে এতো দিন রাগ দেখিয়েছেন বলেই যে বউ অথবা স্বামীর ওপরেও রাগ দেখাবেন সব সময় তা নয়। ঝগড়া করার পর মিটিয়ে নিয়ে, বেশিরভাগ সময়ই মুখে একটা প্লাস্টিক হাসি লাগিয়ে রাখুন দেখবেন দাম্পত্য জীবনের চাকা গড়গড়িয়ে ঘুরবে।
ছেলেরা বউয়ের নিয়ম মেনে চলুন
বিয়ের আগে মায়ের বারণ শোনেননি বলে যে বিয়ের পরে বউয়ের বারণকে চোখ রাঙাবেন তা কখনো করবেন না। সদা বাড়িতে বউয়ের বারণ শুনে চলবেন। ধরুন আপনার স্ত্রী ঘর গুছিয়ে রাখার অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনি ঘর গোছানো থাকলে কোনো জিনিস ঠিক ঠাক খুঁজে পাননা। কিন্তু কি আর করবেন তার মতে কদিন চলেই দেখুন না। আস্তে আস্তে স্বভাব পরিবর্তন হয়ে যাবে আপনারও।
অফিসের কাজ কখনো বাড়িতে করবেন না
অফিসের কাজ কখনোই বাড়িতে করবেন না। অফিসের যাবতীয় চিন্তা ভাবনা এবং রাগ ফেলে আসবেন অফিসের মধ্যেই। তাকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে এসে নিজের কাছের মানুষদের ওপর রোজ ওই রাগ দেখালে আর দাম্পত্য জীবন টিঁকবে না।
সব সময় বন্ধুত্ব রাখুন
বিয়ে করেই টিপিক্যাল স্বামী-স্ত্রীতে পরিণত হয়ে যাবেন না। দেখবেন দুজনের মধ্যে যেন বন্ধুত্বটি বর্তমান থাকে। বন্ধুত্ব থাকলেই আর কোনো অসুবিধা হবে না।
দায়িত্ব নিতে শিখুন
বিয়ে করেছেন ঘরে মাকে সাহায্য করার জন্য বউ এনে দিয়েছেন বলেই সমস্ত দায়িত্ব নিজের গা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন না। সব সময় পরিবারের সকলের দায়িত্ব নিজের। অফিসে কাজের দোহাই দিয়ে ইলেক্ট্রিকের বিল বা ব্যাঙ্কের কাজ এড়িয়ে তা কখনোই বউয়ের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
নিজের জীবন সাথীর সব থেকে বড় চিয়ারলিডার হন
যেকোনো খারাপ সময়ের জন্য নিজের জীবনসাথীকে কখনো দায়ী করবেন না। সেই খারাপ সময় তার পাশে দাঁড়ান। তার সব থেকে বড় শক্তি হয়ে উঠুন। যখন সারা দুনিয়া আপনার সাথীর অপরদিকে চলে যাবে তখনও তার হাতটাকে শক্ত করে ধরে থাকুন। দেখবেন কোনো দিন টলমল করবে না আপনার সম্পর্কের সেতু।
মিথ্যে কথা বলতে শিখুন
বিবাহিত জীবনে সব সময় সত্যি কথা বলবেন না। কোনো ভালো কাজ করতে গেলে যদি মিথ্যে কথা একটু আধটু বলতেও হয় তাহলে কোনো ভুল হয় না। ধরুন আছেন বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টিতে সেখানে বলতেই পারেন অফিসের একটা খুব জরুরি মিটিং-এ আছেন।
বন্ধুদের সুখ্যাতি একদম নয়
নিজের পরম বন্ধুর সুখ্যাতি করা একদম ভুলে যান। বন্ধুকে কখনো নিজেদের ব্যাক্তিগত জীবনের মাঝখানে স্থান দেবেন না।
সারপ্রাইজ দিন
বিয়ের বহু বছর পরেও যাতে প্রেম আপনাদের কাছ থেকে দূরে সরে যেতে না পারে তার জন্য একে ওপরকে সারপ্রাইজ দিন। দেখবেন এই সারপ্রাইজের মাধ্যমেই আপনাদের মধ্যেকার প্রেম নতুন ভাবে জেগে উঠবে।