রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজধানীর ৩৫ স্থানে ৪৫ টাকায় মিলবে পেঁয়াজ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০১:৩৮ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

হঠাৎ করে সারাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের। এ কারণে রাজধানীর ৩৫টি পয়েন্টে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এই নিত্যপণ্যটির দাম বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সোমবার টিসিবি’র মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে তুরস্ক ও মিশর থেকে আমদানি করা হয়েছে। এরইমধ্যে পেঁয়াজের দুইটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। এই পেঁয়াজ আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দেশে বাজারে চলে আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।

এদিকে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে রোববার থেকে ফের পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। আর এতে ভারতের অভ্যন্তরে পাইপলাইনে থাকা পেঁয়াজ বন্দরে প্রবেশ না করলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা বন্দরের আমদানিকারকদের।

অন্যদিকে, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খোলা বাজারে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এতে ভোক্তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ চিন্তিত নয়। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে ভারত যে এ ধরনের ঘোষণা দিতে পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক থেকে আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলাম। আমরা বিকল্প উৎস্য থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি।  এরইমধ্যে পেঁয়াজ নিয়ে দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। 

দেশীয় বাজারে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানির নতুন মূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয় ভারত। এরপর থেকেই বেশি মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি করে আসছে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। আর দুর্গাপূজার বন্ধের আগেই বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে ভারতে পর্যাপ্ত এলসি দেন ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে ভারত সরকার রোববার দুপুর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।