রোববার   ২০ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৭ ১৪৩২   ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

৭ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেল লিভারপুল

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:০৩ এএম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সালসবুর্কের বিপক্ষে জয় পেয়েছে লিভারপুল। ‘ই’ গ্রুপে ৭ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৪-৩ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাপোলির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছিল তারা।

লিভারপুলের হয়ে জোড়া গোল করেন মোহামেদ সালাহ। একটি করে গোল করেন সাদিও মানে ও অ্যান্ড্রু রবার্টসন। অস্ট্রিয়ার দলটির হয়ে জালের দেখা পান হি-চান হওয়াং, তাকুমি মিনামিনো ও আর্লিং হলান্ড।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠা ম্যাচে বারবার দুই দলের রক্ষণকে দিতে হয় পরীক্ষা। এর মধ্যে নবম মিনিটে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন মানে। ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানে।

২৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। দুই ডিফেন্ডারের দারুণ বোঝাপড়ার ফসল এই গোল। জর্ডান হেন্ডারসনের কাছ থেকে বল পেয়ে নিচু ক্রসে রবার্টসনকে খুঁজে পান রাইট ব্যাক ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ড। বাকিটা সারেন স্কটিশ লেফট ব্যাক রবার্টসন। 

৩৬তম মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যান সালাহ। মানের ক্রসে ফিরমিনোর হেড কোনোমতে ঠেকান সালসবুর্কের গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সালাহর বুলেট গতির শট তার গ্লাভস ছুঁয়ে জড়ায় জালে। তিন মিনিট পর হওয়াংয়ের নৈপুণ্যে ব্যবধান কমায় সালসবুর্ক। এনোক মউয়েপুর কাছ থেকে বল পেয়ে লিভারপুলের দুই ডিফেন্ডারকে এক ঝটকায় বিভ্রান্ত করে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের রক্ষণে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে সালসবুর্ক। ৫৫তম মিনিটে কোনোমতে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। মিনামিনোর ক্রসে ঠিকানা খুঁজে পাননি হওয়াং। পরের মিনিটে ব্যবধান আরো কমায় অস্ট্রিয়ার দলটি। হওয়াংয়ের দারুণ ক্রসে চমৎকার ভলিতে বল জালে পাঠান অরক্ষিত জাপানিজ ফরোয়ার্ড মিনামিনো। 
 
৬০তম মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরায় সালসবুর্ক। বদলি নামার তিন মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা আর্লিং হলান্ড। দারুণ স্কয়ার পাসে মূল কাজটা করেন মিনামিনো। অরক্ষিত স্ট্রাইকার হলান্ডের স্রেফ একটা টোকা দিতে হয়েছে।

বিরতির আগে ও পরে ২০ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল হজম করা লিভারপুল এগিয়ে যায় সফরকারীদের ভুলে। একজন বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান ফাবিনিয়ো। তার পাস পেয়ে ফিরমিনো ফ্লিকে বল বাড়ান সালাহকে। সঙ্গে লেগে থাকা খেলোয়াড়দের পেছনে ফেলে বাকিটা সারেন মিশরের এই স্ট্রাইকার।

চার মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন মানে। অ্যালেক্সজান্ডার-আর্নল্ডের কর্নারে স্রেফ মাথা ছোঁয়াতে পারলেই গোল পেয়ে যেতেন তিনি। কিন্তু বলের নাগাল পাননি এই ফরোয়ার্ড।

বাকি সময়ে আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। আগের ম্যাচে হেঙ্ককে ৬-২ গোলে হারানো সালসবুর্ক পায় প্রথম হারের তেতো স্বাদ।
 
‘ই’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে হেঙ্কের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে নাপোলি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা।

জি’ গ্রুপে জার্মানির ক্লাব লাইপজিগের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে ফ্রান্সের লিওঁ। গ্রুপের অন্য ম্যাচে রাশিয়ার জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গ ৩-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালের বেনফিকাকে।

‘এইচ’ গ্রুপে ফ্রান্সের দল লিলের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ডের চেলসি। আরেক ম্যাচে স্পেনের ভালেন্সিয়ার মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে গতবারের সেমি-ফাইনালিস্ট ডাচ ক্লাব আয়াক্স।