পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করবেন মেগান-হ্যারি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ৪ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
ব্যক্তিগত চিঠি ছাপার অভিযোগে একটি ব্রিটিশ পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছেন ডাচেস অব সাসেক্স মেগান। চিঠি ছাপায় অসম্ভব ক্ষুব্ধ মেগানের স্বামী প্রিন্স হ্যারিও। তিনি মনে করেন, মেগানের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর প্রচার চালানো হয়েছে।
১ অক্টোবর মেগান, দ্য ডাচেস অব সাসেক্স ও তার স্বামী প্রিন্স হ্যারি জানান, মেইল অন সানডে পত্রিকার প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা৷
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম প্রচারণার ফলে আমি আমার মাকে হারিয়েছি। এখন স্ত্রীকে দেখছি সেই একই ক্ষমতার হাতে পর্যুদস্ত হতে।’ প্রসঙ্গত ১৯৯৭ সালে পাপারাৎজির তাড়ায় প্যারিসের সুড়ঙ্গে গাড়ি-দুর্ঘটনায় ৩৬ বছর বয়সে প্রাণ হারান হ্যারির মা ডায়ানা।
যে চিঠি নিয়ে এত বিতর্ক, সেটি মেগান লিখেছিলেন তাঁর বাবা টমাস মার্কলকে। কিন্তু এই চিঠিটি নাকি টমাসই ওই পত্রিকাকে দিয়েছে, এমনই জানান পত্রিকাটির মুখপাত্র। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেটি প্রকাশিত হয়েছিল। পত্রিকার দাবি, তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরছে না।
মেগানের বন্ধুরা আর একটি পত্রিকাকে জানিয়েছিলেন, মেগান তাঁর বাবাকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। যদিও মেগানের বিয়ের আগেই বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন মেগানের বাবা টমাস। তখন অভিযোগ ওঠে ছিল, তিনি অর্থের বিনিময়ে নিজেদের ছবি ও খবরাখবর দিতেন সংবাদ মাধ্যমকে।
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে টমাস মেয়ের (মেগান) বিয়েতেও আসেননি। এমনকি গত ৬ মে মেগান পুত্র সন্তান আর্চির মা হওয়ার সময়েও তিনি ছিলেন না। পরেও নাতির মুখ দেখেননি।
বিরক্তের সঙ্গে হ্যারি বলেছেন, ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলোর এখনকার শিকার আমার স্ত্রী। একজন মানুষের উপরে এর কী প্রভাব পড়ে, তা কি তারা জানে না। এ রকম মানসিক কষ্ট নিয়ে মেগান-হ্যারি ওই পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।