বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাক-ভারত যুদ্ধ হলে মরবে সাড়ে ১২ কোটি মানুষ!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:৪৬ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে অন্তত সাড়ে ১২ কোটি মানুষ মারা যাবে। সায়েন্স অ্যাডভান্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা। বুধবার (২ অক্টোবর) ওই গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়।

নিবন্ধে বলা হয়, এ ধরনের যুদ্ধে ভারত যদি ১০০টি এবং পাকিস্তান যদি ১৫০টি পরমাণু ওয়ারহেড ব্যবহার করে, তাহলে তাতে বহু মেগাটন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী তৈরি হবে। যা দশ বছরের বেশি সময় সূর্যালোক প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করবে।

সম্প্রতি বিতর্কিত জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যখন প্রচণ্ড রকমের উত্তেজনা বিরাজ করছে তখন এই গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হলো। দেশ দুটির কাছে বর্তমানে কমপক্ষে ১৫০টি করে পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। 

ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৫ সাল নাগাদ দেশ দুটির প্রত্যেকের কাছেই পরমাণু ওয়ারহেড এর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করেছে এবং ভারতের সঙ্গে একীভূত করে নিয়েছে। কাশ্মীরের জনগণ এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি পাকিস্তান সরকার এবং দেশটির জনগণ ভারতের এহেন সিদ্ধান্তের প্রচণ্ড বিরোধিতা করছে। এ নিয়ে দু'দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে সামরিক উত্তেজনা।

বিশয়গুলো নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পরমাণু বোমা আগে ব্যবহার করবে না বলে দীর্ঘদিন ধরে ভারত যে নীতি অনুসরণ করে আসছে, সেখান থেকে তারা সরে আসতে পারে। 

অন্যদিকে পাকিস্তান বলছে, তারা কখনওই আগে পরমাণু বোমা ব্যবহার করবে না। তবে প্রচলিত যুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের আগ্রাসন থামাতে না পারলে অথবা ভারত যদি আগে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলেই পরমাণু বোমা ব্যবহার করবে তারা।

এদিকে, গবেষণার ফলাফলে বলা হচ্ছে- ভারত এবং পাকিস্তান যদি পরমাণু বোমা ব্যবহার করে তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ২০ লাখ মানুষ নিহত এবং ১৫ লাখ মানুষ আহত হবে। তবে বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটবে বোমা বিস্ফোরণের পর যে আগুনের ঝড় তৈরি হবে তাতে। 

গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, পরমাণু যুদ্ধ ঘটলে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতে বেশি মানুষ মারা যাবে। কারণ দেশটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি এবং সেখানে জনসংখ্যাও তুলনামূলক বেশি।