রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হংকংয়ে মুখোশ নিষিদ্ধ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে নতুন এক ফরমান জারি করলো হংকং। দেশেটিতে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রং মেখে বা কাপড় বেঁধে আড়াল করা যাবে না মুখ। সভা-সমাবেশ বা পথঘাটে কোন ভাবেই গোপন করা যাবে না নিজের পরিচয়। হংকং প্রশাসনের স্পষ্ট ঘোষণা, নিজেকে আড়ালে রেখে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আর বরদাস্ত করা হবে না।

এই ঘোষণাকে অনেকেই অমানবিক বলে আখ্যা দিচ্ছেন। বলছেন, এটা কার্যত জরুরি অবস্থা জারি করার মতোই। কারও কারও মতে, ঔপনিবেশিক জমানার শাসন কায়েম করার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো ক্যারি ল্যামের প্রশাসন। আগামিকাল থেকে চালু হবে এই নিষেধাজ্ঞা। 

তবে এই ঘোষণা হতে না হতেই আজ হংকংয়ের রাস্তায় প্রচুর বিক্ষোভকারী নেমে এসেছে মুখোশ পরেই। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরেও আপত্তি উঠতে শুরু করেছে এই ঘোষণা নিয়ে। জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্তা হুর্তাডোর মন্তব্য হচ্ছে ‘যে কোন নিষেধাজ্ঞারই একটা আইনি ভিত্তি প্রয়োজন।’

অনেক দিন ধরেই বিক্ষোভে উত্তাল হংকংয়ের রাজপথ। কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখোশ-বিরোধী আইন আনতে পারে ল্যাম প্রশাসন। তাই গত ১ অক্টোবর বিক্ষোভের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। ওই দিন এক বিক্ষোভকারীকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বুকে গুলি করে পুলিশ। আজও ১৪ বছরের এক কিশোরকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালানো হয়েছে। 

মুখোশে নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ল্যাম প্রশাসনের যুক্তি, ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে দেওয়া যায় না। তাই এই নিষেধাজ্ঞা।’ হংকংয়ের শৃঙ্খলাবাহিনীর সচিব জন লি জানান, সব সমাবেশ বা মিছিলে পরিচয় গোপন করার জন্য মুখোশ পরা বা মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ হল। মুখোশ নিষিদ্ধ হলে পুলিশের ধরপাকড় করতে আরও সুবিধে হবে বলে আশা ল্যাম প্রশাসনের।

শুধু পরিচয় গোপনই নয়, কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতেও মুখোশের ব্যবহার করেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকে স্বাস্থ্যের কারণেও তা করেন। এই বিতর্কিত ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রশাসনকে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই মনে করছেন দেশটির অনেকেই। এমনকি হিতে বিপরীত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে হংকংয়ে বেড়ে যেতে পারে বিক্ষোভের মাত্রাও।