উইকিপিডিয়াকে কেন্দ্র করে চীন ও তাইওয়ানের যুদ্ধ
বিজ্ঞান ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ৬ অক্টোবর ২০১৯ রোববার

অ্যান্ড্রোয়েডের সহকারী ‘ওকে গুগল’ বা আইফোনের ‘সিরি’কে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে, তাইওয়ান কি? তারা উত্তর দিবে, তাইওয়ান একটি রাষ্ট্র, যার অবস্থান পূর্ব এশিয়ায়। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসেও এই প্রশ্ন করা হলে উত্তর আসতো, তাইওয়ান গণ চীনের একটি প্রদেশ।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে সার্চ ইঞ্জিন, ডিজিটাল অ্যাসিস্টেন্ট ও মোবাইল ফোন সমূহ একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকেই তথ্য নেয়, সেটা হলো উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার উইকিপিডিয়া। কিন্তু সেই উইকিপিডিয়াই বারবার পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
সেখানে তাইওয়ান সম্পর্কে আগের তথ্যটি ছিলো সম্পূর্ণ বিপরীত, তবে চলতি বছর এটি বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে। এমনকি তথ্য পরিবর্তন হওয়ার একদিন পরই ফের তা পরিবর্তন হয়েছে।
এ সম্পর্কে তাইওয়ান উইকিমিডিয়ার বোর্ড সদস্য জেমি লিন বলেন, চলতি বছরটি বেশ অদ্ভুত ভাবে কাটছে। বেশ কয়েকজন তাইওয়ানি উইকিপিডিয়া সদস্য হামলারও শিকার হয়েছেন।
উইকিপিডিয়া কেবল তথ্যবহুল একটি ওয়েবসাইট নয়, এটি একটি আন্দোলনও। মানব জ্ঞানের বিশাল একটি ভান্ডার এটি। বিশ্বের প্রতিটি দেশ সম্পর্কেই তথ্য রয়েছে এখানে। তবে যে কোনো সদস্য চাইলে এর তথ্য সংশোধন বা সংযোজন করতে পারেন।
বর্তমান ডিজিটাল যুগের অন্যতম বড় অর্জন বলা হয় এটিকে, তবে লিন ও তার সহকর্মীদের মতে সেই উইকিপিডিয়াই এখন হামলার শিকার।
চীনা পন্থীরা বারবার এই মুক্ত জ্ঞানকোষে তাইওয়ান নিয়ে তথ্য পরিবর্তন করছে, যার ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছে এর ব্যবহারকারীরা। উইকিপিডিয়ার এই তথ্য পরিবর্তন নিয়ে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে এক ধরনের যুদ্ধ চলছে।
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অংশ ও একটি প্রদেশ বলে দাবি করে থাকে। তবে তাইওয়ান নিজেদের একটি রাষ্ট্র বলে পরিচয় দেয় পশ্চিমা বিশ্বও তাদেরকে সমর্থণ করে থাকে।
উইকিপিডিয়ায় শুধু তাইওয়ান নিয়েই নয়, হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কেও এ ধরনের তথ্য পরিবর্তন করা হয়েছে।
চীনা পন্থীরা উইকিপিডিয়ায় হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের সহিংসতাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে। এমনও হয়েছে যে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উইকিপিডিয়া ৬৫ বার এমন পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গেছে।
সূত্র: বিবিসি, ডেইলি মেইল