রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দুর্গোৎসব

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:১৫ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

সব অসুরের বিনাশ আর অনিয়ম-জঞ্জালকে সরাতে দেবী দুর্গা এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে ফের ঘোড়ায় চড়েই মর্ত্য থেকে স্বর্গে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। এদিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দুধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।

ঢাকা মহানগর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার সকালে বিজয়া দশমীতে ‘বিহিত পূজা’ আর ‘দর্পণ বিসর্জনের’ মধ্য দিয়ে দুর্গা পূজার শাস্ত্রীয় সমাপ্তি ঘটেছে।

 

বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এবার গত ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষ। এরপর একে একে ষষ্ঠী থেকে দশমী। সবগুলো তিথিতেই রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলো ছিলো পূজারীদের বিনম্র প্রার্থনা আর নানান আনুষ্ঠানিকতায় পরিপূর্ণ। পাঁচদিনের মহাকর্মযজ্ঞের পর আজ ধরণীর জন্য দেবী রেখে গেলেন আশির্বাদ আর শিক্ষা। এ শিক্ষা সুন্দর, পরিপাটি-গোছানো মানবজনমের।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, মায়ের ঘোড়ায় চেপে আসা অমঙ্গলের লক্ষণ। কিন্তু আমরা প্রার্থনা করেছি, করুণাময়ী মা যেন সব অকল্যাণ থেকে আমাদের গোটা পৃথিবীকে রক্ষা করেন।

রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোর পাশাপাশি সারাদেশের ৩১ হাজারেরও বেশি মণ্ডপ থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে জলে বিসর্জন দেয়া হলো দুর্গতিনাশিনীকে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে বিহিত পূজার পর মন্দিরে মন্দিরে চলে সিঁদুর খেলা। সেইসঙ্গে নানা অর্চনায় পূজারীরা দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন। স্বর্গ থেকে আসা দেবী দুর্গা যেন সব অনিষ্ট বিনাশ করে সবার ঘরে ঘরে শান্তি পৌঁছে দেন ভক্তদের কণ্ঠে ছিল সেই প্রার্থনা।

দুপুরের পর রাজধানী ঢাকার ২৩৭টি পূজা মণ্ডপে চলে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। এর মধ্যে মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রাটি পুরনো ঢাকার ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করে। বড় বড় বেশ কয়েকটি ট্রাকে করে কল্যাণের দেবী দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিসর্জন ঘাটে। এ সময় হাজার হাজার নারী-পুরুষের ভক্তি-অর্চনা আর আনন্দ-কলরোলে পুরো শহর মেতে উঠে।

 

এরপর বিকেল ৩টার পর ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় মন্দির থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা শুরু হয়ে জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, পুলিশ হেড কোয়াটার, গোলাপ শাহ মাজার, গুলিস্থান, নবাবপুর, রায় সাহেব বাজার, সদরঘাটের ওয়াইজঘাট বিনা স্মৃতিঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।