সিরিয়ায় তুর্কি সেনা অভিযানে পথ ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৩ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার
সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোকে কুর্দিমুক্ত করতে শিগগিরই সেনা অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। এ অভিযান পরিচালনায় সমর্থন না দিলেও যুক্তরাষ্ট্র কোনো বাধা দেবে না বলে জানিয়েছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক ফোনালাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, কুর্দিমুক্ত করে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলকে ‘নিরাপদ ভূমি’ ঘোষণা করবে তুরস্ক। পাশাপাশি, গত বছর ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের সময় আটকে পড়া বিদেশিদের নিজ দেশে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের এ অভিযান সমর্থন করবে না। এতে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছে নেই ওয়াশিংটনের। কিন্তু তারা এ অভিযানে কোনো বাধাও দেবে না। এ পরিস্থিতিতে তাদের মিত্র কুর্দিদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে নিশ্চুপ থেকেছে ওয়াশিংটন।
এদিকে আসন্ন এ অভিযানকে কেন্দ্র করে এরই মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চল থেকে নিজেদের শত শত সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অবস্থানকে ‘পিঠে ছুরি মারা’ বলে অভিহিত করেছে কুর্দিরা।
বেশ কিছদিন থেকেই নিজ দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সিরিয়ার তুর্কি সীমান্তে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আঙ্কারা। এর আগে ২০১৮ সালে সিরিয়ার আফরিন ও মানবিজসহ উত্তরাঞ্চলের শহরগুলোতেও ব্যাপক সেনা মোতায়েন ও অভিযান পরিচালনা করে তারা। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ওই অভিযান থেকে সরে গেলেও কুর্দিদের হটাতে নিজ সিদ্ধান্তে অটল আঙ্কারা। নিজ দেশের কুর্দি বিদ্রোহীগোষ্ঠী ‘পিকেকে’র সঙ্গে সিরিয়ার কুর্দিদের যোগাযোগ আছে বলে মনে করে দেশটি।