শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৭ ১৪৩১   ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কে কোন পদে লড়ছেন?

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:১৩ এএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

ভোটাধিকার বাদ দেওয়া ও নিয়মের বাইরে সদস্যদের ভোটার করাসহ নানা সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। আগামী ২৫ অক্টোবর সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদের এ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


এবার সমিতির ২১টি পদের মধ্যে নির্বাচন হবে ১৮টি পদের। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বাকি তিন পদের প্রার্থীকে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন  বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে একজন অন্য আরেকটি সংগঠনের দায়িত্বে থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করে গেছেন। ২৫ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা নিয়ম ভাঙছেন কিনা, এটা দেখা ছাড়া আপাতত নির্বাচন কমিশনের আর কোনো কাজ নেই।’

এবার ১৮ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২৭ জন প্রার্থী। সমিতির সর্বশেষ সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবারও প্যানেল নিয়ে একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মিশার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। আর সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদের বিপক্ষে লড়ছেন ইলিয়াস কোবরা। 

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন-মাসুম পারভেজ রুবেল, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নানা শাহ। এখান থেকে দু’জন নির্বাচিত হবেন।
সাংকোপাঞ্জা ও আরমান সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে, জাকির হোসেন ও ডন সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে এবং নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও মামুনুন হাসান ইমন আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 


আফজাল শরীফ, আলীরাজ, আলেকজান্ডার বো, আসিফ ইকবাল, বাপ্পারাজ, রোজিনা, অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, জেসমিন, শামীম খান, মারুফ আকিব, রোঞ্জিতা, নাসরিন ও জয় চৌধুরী ১১টি কার্যকরী সদস্য পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে সুব্রত (সাংগঠনিক সম্পাদক), জ্যাকি আলমগীর (দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক) এবং ফরহাদ (কোষাধ্যক্ষ)। 

নির্বাচন প্রসঙ্গে সভাপতি প্রার্থী মৌসুমী  বলেন, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাচ্ছি। এবার জনসংযোগে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা আছে, তাই আমরা তা থেকে বিরত থাকছি। তবে এসএমএস পাঠানো যাবে। নিজের জায়গা থেকে সঠিকভাবে যতটুকু সম্ভব প্রচারণা চালাচ্ছি।’

এদিকে, মিশা-জায়েদের প্যানেলের পক্ষ থেক ফেসবুকে পোস্টার প্রকাশ করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে মৌসুমীর কোনো পোস্টার এখনো দেখা যায়নি।

গত ২৪ মে শিল্পী সমিতির বিদায়ী (২০১৭-১৯) কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৪৪৯ জন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের ভোটারদের এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে অনেক সদস্যের অভিযোগ নিয়ম বহির্ভূতভাবে তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মিশা-জায়েদকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন সমিতির ফাইট ডিরেক্টর মো. শেখ শামীম।