আসছে শীতে শিশুর যেমন যত্ন প্রয়োজন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার
ভোরের কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীত দোর গোড়ায়। শীত এলেই আমাদের কিছু বাড়তি যত্নের দরকার হয়। তবে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের ব্যাপারে থাকতে হয় একটু বেশি সতর্ক। এ সময় শিশুদের ঠাণ্ডা, জ্বরসহ বিভিন্ন রোগের প্রকট বেড়ে যায়।
তাছাড়া শীতের আর্দ্র আবহাওয়াতে শিশুর ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। শুষ্ক চামড়া বাচ্চাদের বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দেয়। তাই শীতের এই সময়টাতে শিশুর ত্বকের যত্নের ব্যাপারে বাড়াতে হবে সতর্কতা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শীতে শিশুর বাড়তি যত্নে কি করণীয়-
গরম কাপড়
শীত থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো, শিশুকে গরম পোশাক পরানো। দরকার হলে একাধিক পোশাক পরান। শিশুদের দেহের ভেতরে শীতের অনুভূতি বেশি থাকে। তাই কেবল গরম পোশাক পরালেই চলবে না, শিশুর যেন ঠান্ডা লাগতে না পারে সে অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করতে হবে।
শিশুর খাবার
এ সময় আপনার আদরের সোনামণির খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। কমলা, মাল্টা, লেবু, আমলকি ইত্যাদি ফল বেছে নিন। শিশু চিবিয়ে খেতে না পারলে, এগুলোর জুস খাওয়াতে পারেন।
শিশুর ঠোঁটের যত্ন
শীতকালে বড়দের মতোই শিশুদেরও দরকার ঠোঁটের যত্ন। অনেক সময় নবজাতক শিশুরও ঠোঁট ফেটে যায়। তাই শিশুদের ঠোঁটের যত্নে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। তবে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে তা ভালো করে মুছে দিন।
নিয়ম মেনে গোসল করান
শীতে আপনার বাচ্চার গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যাবহার করুন। এসময় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে শিশুদেরকে গোসল করালে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পরে। আবার বেশি গরম পানি দিয়ে গোসল করালেও ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। কুসুম গরম পানি শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করবে। এছাড়াও শীতে গোসলের সময়টা কমিয়ে আনুন। নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে শরীর মুছে দিন।
ময়েশ্চারাইজড
শিশুকে গোসল করানোর পর শরীর মুছিয়ে তারপর মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শীতে শিশুর ত্বকের যত্নে জলপাই তেল, বাদাম তেল বা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করতে পারেন। সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যাল যুক্ত লোশন বা ক্রিম শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোর ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
শিশুকে আদ্র রাখুন
শীতে আপনার শিশুর ত্বককে শুষ্ক রাখতে ঘন ঘন ডায়পার পরিবর্তন করুন। ভেজা ডায়পার বেশিক্ষণ পড়ানো থাকলে শিশুর ত্বকে র্যাশ হতে পারে। আবার ঠান্ডা লেগে যাবার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।