আজ গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের রায়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:০৬ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে গাইবান্ধা সদর এলাকার পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হবে আজ মঙ্গলবার। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২১ জুলাই উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়েছিল।
আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা সদরের আব্দুল জব্বার মণ্ডল, তার ছেলে জাফিজার রহমান ওরফে খোকা, আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডল, মোন্তাজ আলী ব্যাপারী ওরফে মমতাজ ও রনজু মিয়া। আসামিদের মধ্যে রনজু মিয়া ছাড়া বাকি চারজন পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ চার ধরনের অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন বিভাগ।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে আছেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল, তাপস কান্তি বল ও সাবিনা ইয়াসমীন খান মুন্নী। কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রনজু মিয়া এবং পলাতক চার আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ২৫ মে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন গাইবান্ধার পুলিশ রনজু মিয়াকে গ্রেফতার করে। ২৯ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ছয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর এক আসামি আজগর হোসেন খান মারা যাওয়ায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ২০১৮ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
প্রসিকিউশন জানায়, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে একাত্তরের ১৮ অক্টোবর পাকিস্তানিদের পক্ষ নিয়ে আসামিরা গাইবান্ধা সদর এলাকার সাহাপাড়া ইউনিয়নের নান্দিনা, দৌলতপুর, মিরপুর, সাহারবাজার, কাশদহ, বিসিক শিল্পনগরী, ভবানীপুর ও চকগয়েশপুর গ্রামের ২১ জনকে হত্যা, শতাধিক বাড়িঘর লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ এবং কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক, ইসলাম উদ্দিন এবং নবীর হোসেনসহ মোট সাতজন নিরস্ত্র মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করে। আসামিরা সাহাপাড়া ইউনিয়নের তিন-চারশ’ হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে। বিচারে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়।
আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী।