রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খুশকি থেকে মুক্তি মিলবে এই তেলে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

বর্তমানে নারী পুরুষ সবাই চুল নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে চুল পরিচর্যার অভাব সঙ্গে দূষণে চুলের বারোটা বেজে যাচ্ছে! তবে জানেন কি? চুলের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে বাদামে। 

বাদামে থাকা ভিটামিন ই, ফ্যাটি এসিড এবং ম্যাগনেসিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে রেহাই মিলে অনেক কঠিন রোগবালাই থেকে। এছাড়াও চুলের যত্নে এর তেল ব্যবহারে চুল নিয়ে হতাশা, দুশিন্তা দূর হবে নিমিষেই। এই তেল ব্যবহারে শুষ্ক কিংবা খসখসে চুলকে সফট বা কোমল করবে। চুলের গোড়া মজবুত করে চুল ভাঙ্গা রোধ করবে। 
 
আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে কাঠ বাদাম তেলের। চুলে ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে ভিতর থেকে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুলে ও ত্বক ভালো থাকবে। বাদাম তেল সাধারণত দুই রকমের হয়। একটি মিষ্টি আরেকটিতে তেঁতো। আর এই তেঁতো তেল-ই চুলের যত্নের কাজে লাগে। 

চুল পড়া কমাতে

ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ কাঠবাদামের তেল ও ১ টেবিল-চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি চুলের গোড়া ও পুরো চুলে লাগিয়ে গরম তোয়ালে দিয়ে পুরো মাথা পেঁচিয়ে নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মাথায় নতুন চুল গজাতে ও চুল পড়া কমাতে মিশ্রণটি সপ্তাহে অন্ত্যত একবার ব্যবহার করুন।  

ক্ষতিগ্রস্ত চুল সারাতে কার্যকর

আমাদের কর্মব্যস্ত সারাদিনে চুলের যত্ন নেয়ার সময় থাকে না একদমই। এছাড়াও চুলে হিট, স্প্রে, বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহারে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। তাই চুলের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে সমপরিমাণ বাদাম তেল ও কুসুম গরম নারিকেলের দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে পুরো মাথা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। ভঙ্গুর চুলের ক্ষেত্রে নারিকেলের দুধের পরিবর্তে অর্ধেক পাকা পেঁপেও মিশিয়ে নিতে পারেন।
 
নতুন চুল গজাতে 

কাঠ বাদাম তেল, মেথি গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার। এতে করে চুল পড়া কমিয়ে চুলের আগা শক্ত করবে। 

ন্যাচারাল সিরাম 

কয়েক ফোঁটা কাঠবাদামের তেল হাতের তালুতে ঘষে নিন। এবার পুরো চুলে আলতো হাতে লাগিয়ে নিন। দেখবেন চুল আলোকোজ্জ্বল দেখাচ্ছে। সাধারণত কোঁকড়া চুলের জন্য এটি বেশি প্রযোজ্য।

স্ক্যাল্পের ইনফেকশন দূর করতে

পলিউশন, ডাস্ট, কেমিক্যাল, হেয়ার কালার ইত্যাদি কারণে স্ক্যাল্পে অনেক সময় ইনফেকশন হয়। বাদাম তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১, বি২ এবং বি৬। এসব উপাদান চুলের ইনফেকশন দূর করে চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  
খুশকি থেকে মুক্তি পেতে 

কাঠবাদামের তেল মাখলে মাথার ত্বক, মৃত কোষ ও খুশকি দূর হয়। শ্যাম্পু করার কয়েক ঘণ্টা আগে কাঠবাদামের তেল চুলে মাখুন। এতে করে সহজেই মাথার খুশকি ও মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাছাড়া এভাবে মাথার ত্বকে তেল মালিশ করা হলে লোমকূপ খুলে যায় এবং চুলের গভীরে তেল যেয়ে চুলে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। ফলে চুল হয় নরম।