শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ১৭ ১৪৩১   ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে মিম, সংসার টিকিয়ে রাখার পক্ষে সিদ্দিক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

কয়েক দিন ধরেই খবরের শিরোনামে আসছেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান-মারিয়া মিম দম্পতি। সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলছেন মিম। সিদ্দিকও গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরছেন তার নিজের বক্তব্য।

মারিয়া মিম অভিযোগ তুলেছেন সিদ্দিক তাকে মিডিয়ায় কাজ করেতে দিতে চান না। তাকে সময় দেন না। কারণে অকারণে তাকে নির্যাতন করেন। পরিবারের থেকে বাইরে বেশি সময় কাটান। এমন কী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে সিদ্দিককে ডিভোর্স দিতেও চেয়েছেন তিনি। তবে স্ত্রীকে নিয়ে তেমন কিছুই বলছেন না সিদ্দিক। বিচ্ছেদের পথে নয় বরং মিলনের পথেই হাঁটতে চান এই অভিনেতা।

 

মিমের নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান জানান, মিমের বিরুদ্ধে আমারো অনেক অভিযোগ আছে। কিন্তু সে এখনো আমার স্ত্রী। পরিবারের কথা বাইরের লোককে বলতে চাই না। কথা বললেই কথা বাড়বে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলতেই থাকবে।

কিন্তু প্রকাশ্যেই আপনার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন মিম! সবাই জানছে বিষয়গুলো। এ ব্যাপারে সিদ্দিক বলেন, মিমের কয়েক দিনের আচরণে আমার মনে হচ্ছে ওর পেছনো তৃতীয় কোনো ব্যক্তি আছে। মিম কেমন আমি তো জানি? অল্প বয়স। রাগের মাথায় কী বলছেন না বলছে ও নিজেও জানে না। মিমের মা-বাবার সঙ্গেও কথা বলেছি। বিচ্ছেদ নয় ওর ফিরে আসাটাই সঠিক সমাধান হতে পারে। আমাকে ডিভোর্স দিয়ে মিম হয় তো আরো ভালো কোথাও বিয়ে করতে পারবে। আমিও হয়তো আবারো বিয়ে করতে পারবো। কিন্তু আমাদের ছেলে আরশ তার মাকে হারাবে। ছেলের চেয়ে মডেলিং কখনো বড় হতে পারে না।

এ অভিনেতা আরো বলেন, আমি মিমকে একেবারে মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে বলিনি। আমার নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ থেকে অনেক কাজ হয়। তার যেহেতু ইচ্ছে সে নিজের প্রোডাকশনে কাজ করতেই পারে।

 

সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করা নিয়ে মিমের সঙ্গে সিদ্দিকের ঝামেলা হয়। নিষেধ করা সত্ত্বেও মিম কাজটি করতে চায়। শেষে অবশ্য বিজ্ঞাপনটিতে তার কাজ করা হয়নি। এতেই হয়তো ক্ষোভে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিম, এমনটাই ধারণা সিদ্দিকের।

২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। স্ত্রী ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিলেও এখনো সংসার টিকিয়ে রাখার পক্ষে সিদ্দিক। তিনি স্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তুমি ফিরে এসো। আমাদের এতো ছোট বাচ্চা রয়েছে দুইজন দুইদিকে চলে গেলে বাচ্চাটা মানুষ হতে পারবে না। ফিরে এসে সংসারটা বাঁচাও, আমাদের শিশুটাকে দেখো।