জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার
বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৪ সালের আজকের দিনে (১৯ অক্টোবর) ৯২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমদের জন্ম ১৯২২ সালে, ফরিদপুরে। তবে তার শিক্ষা সনদে জন্ম সাল উল্লেখ রয়েছে ১৯২৪। ১৯৩৮ সালে কলকাতার তালতলা হাইস্কুল থেকে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন, রিপন কলেজ থেকে ১৯৪০ সালে উচ্চমাধ্যমিক, প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইতিহাসে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ ও গবেষণা করেন। পিএইচডি করেন লন্ডনে।
সালাহউদ্দীন আহমদ জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৪৮ সালে। এখানে তিনি রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নে ১৯৫৪ সালে ইতিহাস বিভাগে যোগ দেন এবং এখানে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে যোগ দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন ১৯৭৮ সালে এবং ১৯৮৪ সালে নিয়মিত চাকরি থেকে অবসর নেন। তবে পরে তিনি সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে এশিয়াটিক সোসাইটি, ইতিহাস পরিষদ, জাতিসংঘ সমিতি, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ইত্যাদি।
তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘সোশ্যাল আইডিয়াজ অ্যান্ড সোশ্যাল চেইঞ্জ ইন বেঙ্গল ১৮১৮-৩৫’, ‘বাংলাদেশ : ট্র্যাডিশনাল অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’, ‘বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার উন্মেষ ও বিকাশ’, ‘বাঙালীর সাধনা ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’, ‘ইতিহাসের সন্ধানে’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য বই।
অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ জাতীয় জাদুঘরে কথ্য ইতিহাস প্রকল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। তার সহযোগী ছিলেন সরদার ফজলুল করিমসহ একাধিক অধ্যাপক বুদ্ধিজীবী। জাতীয় জীবনে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের সাক্ষাৎকার অডিও ভিডিওতে ধারণ, সাক্ষাৎকারের লিখিত রূপ প্রকাশ করার বিষয়টি তার নিষ্ঠাবান কর্মযজ্ঞের স্মৃতি আজো অনেকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পদক ও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।