শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১   ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মালয়েশিয়াকে ভারতের হুমকি!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রোববার

কাশ্মীর ইস্যুতে গতমাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতের বিরোধীতা করায় ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছে। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নষ্টসহ বেশকিছু বিষয়ে সংকট তৈরি করে শিক্ষা দিতে চাইছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। 

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে। 

চলতি বছরের আগস্টে ভারতীয় সংবিধানে দেয়া কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা উঠিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। এতে পাকিস্তান, মালয়েশিয়াসহ মুসলিম বিশ্বের প্রায় সব দেশ ভারতের কঠোর সমালোচনা করেন। 

এমনকি, এ আইন পাস করতে গিয়ে কংগ্রেসে বিরোধীদের তুমুল সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। 

সমালোচনার সে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে মালয়েশিয়া। এশিয়ার এ উন্নত রাষ্ট্রটি সদ্য শেষ হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর জনতার ওপর ভারতের নির্মম নির্যাতনের কথা তুলে ধরে প্রবল বিরোধীতা ও সমালোচনা করে।  

মালয়েশিয়ার এমন সমালোচনা মোদি তাৎক্ষণিকভাবে হজম করলেও এখন চাইছেন দেশটিকে উচিত শিক্ষা দিতে। ক্ষুব্ধ দিল্লি দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক কমিয়ে আনা, এমনকি প্রয়োজনে ছিন্ন করার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, জাকির নায়েককে ভারতে ফেরানোর জন্য মালয়েশিয়া কিছুই করছে না বলে গত কয়েক মাস ধরে অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করে আসছিল সাউথ ব্লক। ফলে, কাশ্মীর নিয়ে মালয়েশিয়ার অবস্থানে সেই ক্ষোভ আরো বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়া পাম তেল উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম সারিতে। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে ৯০ কোটি মিলিয়ন ডলারের পাম তেল সে দেশ থেকে আমদানি করেছে ভারত। এবার সেই পরিমাণ কমানো হবে কি-না ভাবছে দিল্লি। 

সরকারি সূত্র মতে, ভারত এই তেল মালয়েশিয়ার বদলে ইন্দোনেশিয়া থেকে খুব সহজেই আমদানি করতে পারে। কিন্তু মালয়েশিয়ার সাধারণ কৃষকদের সঙ্কটের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে বলে দিল্লির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। 

২০১৮-১৯-এ ভারত-মালয়েশিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ভারতের ঘাটতি ছিল ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতে রফতানির তুলনায় আমদানি বেশি। এবার তার পরিবর্তন নিয়ে নতুন করে চিন্তা শুরু হয়েছে। 

নয়াদিল্লির আরো ক্ষোভের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য বাড়তি সক্রিয় ছিল ভারত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ২০১০ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি করেছিলেন। যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী আরো বৃহত্তর জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।