ব্রেক্সিটে সময় চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:১৭ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রোববার
ব্রেক্সিট চুক্তিতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ফের বড় ধাক্কা খেল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দেশটির পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ দলীয় সাবেক মন্ত্রী অলিভার লেটউইনের আনা ব্রেক্সিট চুক্তির সংশোধনী প্রস্তাবের পক্ষে পার্লামেন্টের ৩২২ ও বিপক্ষে ৩০৬ জন্য সদস্য ভোট দেন।
এতে করে দীর্ঘদিন যাবৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে ব্রিটেন তা আবরো ব্যর্থতার মুখে পড়লো। এদিন পার্লামেন্টের সদস্যরা আরো সময় চান। প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার জন্য সময় চেয়ে চিঠি পাঠানোর কথা।
সে অনুযায়ী শনিবার ভোটাভুটিতে হেরে বেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া আরো বিলম্বিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পাশাপাশি আরেকটি চিঠিতে তিনি সময় বাড়াতে চাননা বলেও জানিয়েছেন। তবে এসব চিঠিতে তার স্বাক্ষর ছিলনা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়েটার্স।
এর আগে ক্ষমতাগ্রহণে পর থেকেই ব্রেক্সিটের নির্ধারিত সময় ৩১ অক্টোবর কোনোভাবেই পেছাতে চাচ্ছিলেন না তিনি। কিন্তু বিরোধীদের চাপে শেষ পর্যন্ত তাকে পেছাতে হলো।
গতমাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী বেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইতিহাস ভেঙ্গে শনিবার অধিবেশন ডেকে ইইউয়ের সঙ্গে নিজের করা ‘বিচ্ছেদ’ চুক্তি শনিবার পাস করার চেষ্টা করেন জনসন। কিন্তু প্রতিপক্ষদের ভোটে পুনরায় তা ব্যর্থ হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে জনসন মোট তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে একটি বেন অ্যাক্ট নামের সেই আইনের ফটোকপি যা জনসনকে চিঠি লিখতে বাধ্য করেছে; দ্বিতীয়টি, ব্রিটিশ সরকার শুধু এ আইন অনুযায়ী কাজ করছে এমনটি জানিয়ে ইইউতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতের পাঠানো একটি নোট এবং তৃতীয় আরেকটি চিঠি যেটিতে জনসন জানিয়েছেন তিনি সময় আর বাড়াতে চান না।
জনসনের পাঠানো চিঠির প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ইইউ প্রেসিডেন্ট।