বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

২০টির বেশি এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি ইউক্রেনের

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০২:২৮ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

 

ইউক্রেনীয় সেনারা দক্ষিণের আরো ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলের দাবি করেছে। সোমবার কিয়েভের বাহিনী জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ২০টিরও বেশি বসতি থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনীয় বাহিনীর এ দাবি সত্যি হলে তার অর্থ হচ্ছে, কয়েক দিন ধরে ভূখণ্ড পুনর্দখলের ধারা অব্যাহত রেখেছে তারা।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে  সোমবার জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ২০টিরও বেশি বসতি রুশ সেনাদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

তাদের দাবি, ইউক্রেনের পাল্টা আঘাতে রাশিয়ার সেনারা অবস্থান ছেড়ে পালাচ্ছে।

সপ্তাহজুড়ে ইউক্রেনের পূর্ব থেকে দক্ষিণে ধারাবাহিক সাফল্যের খবর দিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইজিয়াম, কুপিয়ানস্ক ও বালাক্লিয়া শহর পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে তারা।

সোমবার ইউক্রেনের বাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া গুমেনাইউক বলেন, ‘দেশের দক্ষিণে আরো ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা আমরা মুক্ত করেছি। ’

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ আরো বলেছে, খারকিভ এখন প্রায় পুরোপুরি কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে।

গত রবিবার ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল, যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার দখলে যাওয়া প্রায় তিন হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে কিয়েভ। এর ধারাবাহিকতায় পরদিন আরো এলাকা পুনর্দখলের দাবি করল তারা।

দখলকৃত কিছু অঞ্চল হারানোর বিষয়টি গত কয়েক দিনে বিভিন্নভাবে স্বীকার করে নিয়েছে রাশিয়া। তবে তারা দাবি করেছে, এর মধ্যে কয়েকটি জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠিত হয়ে নতুন করে হামলার জন্য। দখল পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তা ধরে রাখার জন্য পুনরায় হামলারও ঘোষণা দিয়েছে মস্কোর বাহিনী।

সোমবার মস্কো ঘোষণা করেছে, খারকিভ অঞ্চলে গোলন্দাজ ও রকেট হামলার পাশাপাশি বিমান হামলা চালানো হবে।

এ ছাড়া ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত রবিবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ক্রামাতোরস্ক থেকে শুরু করে দক্ষিণের মাইকোলাইভ পর্যন্ত এবং এ দুই অঞ্চলের মাঝামাঝি দিনিপ্রোর কমপক্ষে ১৫টি জায়গায় হামলা করেছে রাশিয়ার সেনারা।

এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য ইনস্টিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার সোমবার একটি মূল্যায়নে বলেছে, যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে ইউক্রেন। কিন্তু পাল্টা আঘাত অব্যাহত থাকার কারণে শিগগিরই যুদ্ধ শেষ হবে না। সূত্র : এএফপি