রোববার শুভ বড়দিন উৎসবে মুখর হয়ে উঠেছে নিউইয়র্ক
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৭:৩১ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ শনিবার
আজকাল রিপোর্র্ট
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপনে নিউইয়র্কে ব্যাপক প্রস্ততি চলছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন চার্চ ও মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাঙালি কমিউনিটিও এই উৎসবে সামিল হয়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
২৫ ডিসেম্বর রোববার বড়দিন। তবে এর আগে থেকেই উৎসবে মেতে উঠেছে নিউইয়র্ক। বাড়ি বাড়ি চলছে নানা আয়োজন। চলছে কেনা-কাটার ধুম। ক্রিসমাস ট্রি কেনার হিড়িক।
ক্রিসমাসকে কেন্দ্র করে বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ব্রঙ্কস,ওজনপার্ক, এষ্টোরিয়ার গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা ও রাস্তাগুলো আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ফুল,রঙিন কাগজ আর আলোয় আলোয় সাজানো হয়েছে চার্চগুলি। আনন্দ আয়োজন আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি প্রবাসী খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করবে যিশুখ্রিস্টের জন্মতিথি বড়দিন।
এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে নিউইয়র্কে প্রায় প্রতিটি বড় বড় শপিং মলে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ মূল্যছাড় ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় প্রতিটি পণ্যে। শুধু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নয়, সব ধর্মের মানুষেরা থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরে বড়দিনের জন্য অপেক্ষা করেন কাঙ্খিত পণ্যটি কিনতে। শপিং মল ছাড়াও অনলাইনে পণ্য কেনায় ছাড় দিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
প্রথা অনুযায়ী রঙিন আলোয় ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে ঘরে ঘরে এবং বাড়ির সামনে। সাজানো ক্রিসমাস ট্রির নিচে রাখা হচ্ছে উৎসবের মৌসুমে পাওয়া সব উপহার। ক্রিসমাসের দিন সকালে উঠে এসব উপহারের মোড়ক খোলা হবে।
এই দিনের অন্যতম আকর্ষণ হলো সান্তাক্লজ। সঙ্গে রয়েছে তার চমকপ্রদ উপহারসামগ্রী। এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে সবাই চেষ্টা করে থাকেন প্রিয়জনকে সাধ্যের মধ্যে কিছু উপহার দেওয়ার। উৎসবের এই সময়টি বয়ে আনে আত্মীয়-পরিজনের সাথে মিলিত হওয়ার উপলক্ষ। ক্রিসমাস ট্রি, ক্রিসমাস ক্যারল, সুস্বাদু খাবার আর রঙিন গৃহসজ্জা মিলিয়ে চারদিকে আলোর উৎসবে সেজে ওঠে বছর শেষের এই সময়টি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন চার্চে চলে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা ও যিশুকে স্মরণ। ক্রিসমাস ডে মূলত খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও নিউইয়র্কে এটি এখন সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এই আয়োজনের মূল উপজীব্য নিহিত রয়েছে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের একত্রিত হয়ে যিশুখ্রিষ্টের আবির্ভাব এবং মানুষের জন্য তাঁর জীবন ত্যাগের বিষয় স্মরণের মধ্যে।
যিশুখ্রিস্টের বাণী- মানুষের পরিত্রাণের উপায় হল জগতের মাঝে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থান। পূর্ণ অন্তর, মন ও শক্তি দিয়ে তিনি ঈশ্বর ও সবাই মানুষকে ভালোবাসতে শিক্ষা দিয়েছেন। বড়দিনের এই উৎসবে বড় শিক্ষা- সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন।