বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে পাকিস্তান

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০১:৩৬ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ রোববার

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ক্রমাগত কমতে থাকায় পাকিস্তানের দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) হাতে এখন যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে সাকল্যে এক মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা যাবে। ডন

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে কমছে। সর্বশেষ গত ১৬ ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভ ৫৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার কমে ৬১০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এসবিপি গত বৃহস্পতিবার জানায়, তাদের রিজার্ভ এখন ২০১৪ সালের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। গত এক বছরে এসবিপির রিজার্ভ ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলার কমেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ডলার।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হাতে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে ৫৯০ কোটি ডলারের। তার মানে দেশটির মোট তরল বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ এখন মাত্র ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কখন তাদের নবম পর্যালোচনা শেষ করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাকিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলসহ বেশ কয়েকজন অর্থনীতিবিদ দাবি করেছেন, দেশটি এখন নিজেদের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ বা দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তবে বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারসহ একাধিক পাকিস্তানি কর্মকর্তা বলছেন, রিজার্ভ সংকট কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে তারা সৌদি আরব এবং চীনের সহযোগিতা পাবেন। কিন্তু এ ব্যাপারে ওই দুই দেশ এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে নতুন করে ঋণসহায়তা ছাড় না দিলে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

চলতি বছরের ভয়াবহ বন্যা, খাদ্য ও জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সুদের হার বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।