ব্যবসায়ীরা এসে ১০-১৫ কোটি খরচ করে কী পাচ্ছে? - প্রশ্ন সুজনের
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০৩:৫৬ এএম, ৪ জানুয়ারি ২০২৩ বুধবার

দেখতে দেখতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৯ম আসর চলে এলো। এতদিনে কতটা পেশাদার হতে পেরেছে বিপিএল? ২০১২ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে সুনির্দিষ্টি কোনো আর্থিক কাঠামো এখনও পর্যন্ত দাঁড় করাতে পারেনি বিসিবি। আইপিএলসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে লভ্যাংশের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পেয়ে থাকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বাংলাদেশে তা কখনোই দেওয়া হয় না।
তাই দীর্ঘমেয়াদে দল তৈরিতে আগ্রহ দেখান না ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা।
বিপিএলে দলগুলির খরচের খাত প্রচুর থাকলেও আয়ের সুযোগ খুবই কম থাকে। এতদিন বিসিবির কর্মকর্তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। নবম বিপিএলের প্রাক্কালে এটা নিয়ে মুখ খুললেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর তথা খুলনা টাইগার্সের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'এখানে লভ্যাংশ শেয়ারিংয়ের ব্যাপারটাও আসে। খালি ব্যবসায়ীরা এসে ১০-১৫ কোটি টাকা খরচ করছে বিনিময়ে কি নিয়ে যাচ্ছে? হয়তো স্পন্সর পাচ্ছে। কিন্তু স্পন্সর থেকেও যে বিশাল অঙ্কের টাকা তুলতে পারছে বর্তমানে দেশের যা অবস্থা তাও না। '
সুজন আরও বলেন, 'এক একটা টিম আসে, এক-দুই-তিন বছর থাকে; তখন ৩ কোটি টাকা লস করে। তিন বছর পর এই লসটা কিন্তু করবে না কেউ। আপনি যদি ৮ বছরের জন্য টিম নিলেন। প্রথম তিন বছর লস করবেন তারপর একটা ব্রেক ইভেনে যাবেন তারপর লাভ করা শুরু করতে হবে। ওরকম না হলে কিন্তু সবাই আসতে চাইবে না। দিনশেষে তারা সবাই ব্যবসায়ী। তারা বিজসেনটাই বুঝবে। আমি বিশ্বাস করি, এরকম দলও থাকবে যারা লম্বা সময়ের জন্য খেলবে। কুমিল্লা যেমন আছে। এটা ভালো দিক। রংপুরওআবার ব্যাক করেছে। খুলনাও অনেক দিন ধরে খেলছে। আরো বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টিটা। '
আইপিএলের উদাহরণ টেনে সুজন বলেন, 'এখন আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলো যেটা করে, ওরা সারা বছর প্রতিভা খুঁজে বের করে। সারা বছর কাজ করে। এক দুই মাস ওরা আইপিএল খেলে তেমনটা নয়। সারা বছর কিছু না কিছু করে। এরকম যখন বিপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলো করবে, তখন বিসিবির কাজটাও সহজ হয়ে যাবে। বিসিবির পাশাপাশি তারাও যদি কাজ করে, প্রতিভা খুঁজে, একাডেমি থাকে, তাহলে দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো। তাহলে পাইপলাইন থেকে আমরা আরো ভালো কিছু পাব। '
খালেদ মাহমুদ বলেন, 'আপনি যদি আইপিএলের ফরম্যাটে যান, তাহলে আমাদেরকে কিছুটা হলেও চিন্তা করতে হবে। যেন ফ্রাঞ্চাইজি ও বিসিবি উইন উইন পরিস্থিতিতে আসে। কারণ বিসিবি এখান থেকে সামান্য টাকা আয় করে। সেটা দলগুলোর জন্যও হতে হবে। উইন উইন পরিস্থিতিটা কিভাবে আনা যায়, বিজনেস মডিউল কীভাবে করা যায়, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে সেভাবেই চিন্তা করতে হবে। এতে বিপিএল আরো বড় হবে, প্রসার পাবে, আরও বড় খেলোয়াড়রা খেলতে আসবে চাইবে। তাহলেই এটা ভালো হবে। '