বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সোলেডার `ছেড়ে যাবার কথা ভাবছে` ইউক্রেনীয় বাহিনী

সাপ্তাহিক আজকাল

প্রকাশিত : ০৪:৩৩ এএম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার

 

ইউক্রনের পূর্বাঞ্চলীয় সোলেডার শহরে এখনো প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে দেশটির সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র আভাস দিয়েছেন, তাদের কম্যান্ডাররা সোলেডার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। খবর বিবিসির।
দৈনিক ইত্তেফাকের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার সোলেডারের পরিস্থিতিকে কঠিন বলে উল্লেখ করেন। শহরটির বড় এলাকাই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে খবরে বলা হচ্ছে।

ইউক্রেনীয় মুখপাত্র বলেন, বাখমুট শহরের নিকটবর্তী সোলেডারে তাদের সেনারা রুশ ওয়াগনার বাহিনীর সবচেয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

এর আগে গতকাল বুধবার ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন দাবি করেন, সোলেডার শহরটি তার বাহিনী দখল করেছে। তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধ এখনো চলছে।
সোলেডার শহরের ধ্বংসলীলা। অগাস্টে স্যাটেলাইটে ধারণকৃত ছবিতে (বামে) সোলেডর । হামলার পরের চিত্র (ডানে) যা জানুয়ারিতে ধারণ করা হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনের ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন,'রুশরা তাদের হাজার হাজার লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান ধরে রেখেছি।'

এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের সেনা অবস্থান বাড়াচ্ছে। হান্না মালিয়ার বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনে রুশ সেনা ইউনিটের সংখ্যা ছিল ২৫০টি ।  তবে মস্কো এখন এক কৌশলগত উদ্যোগ নিয়ে ইউনিটের সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০টি করেছে ।

এসব ইউনিটে নতুন নিয়োগ-পাওয়া সেনারা রয়েছে বলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়। আরেকজন উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওলেক্সেই গ্রোমভ বিবৃতিতে জানান, ইউক্রেনে সামরিক পরিস্থিতি ‘দুরূহ’।

তার কথায়, পূর্ব ফ্রন্টে প্রচণ্ড লড়াই চালিয়ে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রক্ষণব্যুহ ভেঙে তাদের সেনাদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। গ্রোমভ আরও বলেন,  উত্তর দিকে বেলারুসের ভূখণ্ড ব্যবহার করে আক্রমণ চালানোর সম্ভাবনা পুরো বছর জুড়েই জোরদার থাকবে।

প্রিগোশিন এর আগে বলেছেন, সোলেডার শহরের ভেতরে প্রবেশে লড়াইয়ে শুধু ওয়াগনার যোদ্ধারাই অংশ নিচ্ছে। আর রুশ বাহিনী ইউক্রেনীয় অবস্থানগুলোর ওপর বিমান আক্রমণ চালাচ্ছে।

প্রায় ১০ হাজার লোকের বাসস্থান লবণের খনিসমৃদ্ধ শহর সোলেডার রুশ দখলে চলে গেলে তা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুট শহরটি ঘিরে ফেলতে রুশ সেনাদের সহায়তা করবে।  

তাছাড়া এর ফলে বাখমুট শহরটিতে রসদপত্র সরবরাহের  জন্য নিকটবর্তী স্লোভিয়ানস্কের সঙ্গে  গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথটিও প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সোলেডারের খনির গভীর  সুড়ঙ্গগুলোর নেটওয়ার্ককে ইউক্রেন-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ঢুকতে ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।