নগরীতে অপরাধ বেড়েছে ২২ শতাংশ
সাপ্তাহিক আজকাল
প্রকাশিত : ০২:১১ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার
গত বছর শপ লিফটিঙের ঘটনা ঘটেছে ৬৩ হাজার : মেয়রের তথ্য
আজকাল রিপোর্ট
গত বছর নিউইয়র্ক সিটিতে শপ লিফটিং বা দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে ৬৩ হাজার। এই অপরাধে ধরা হয়েছে ৩২৭ জনকে। এ তথ্য প্রকাশ করে সিটি মেয়র এরিক এডামস বলেছেন, সিটিতে বড় ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত মানুষের সংখ্যা খুবই কম। তিনি জানান, পুলিশের তথ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সিটিতে অপরাধের হার ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও ডিসেম্বর নাগাদ ডাকাতি বা খুনখারাবির মতো বড় ধরনের অপরাধ হ্রাস পেয়েছে। গত বুধবার একটি মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়র এরিক এডামস তার ২০২৩ সালের লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরে বলেন, আমরা আর দায়িত্ব পালনে নবাগত নই, আমরা এখন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এগিয়ে যাব।
শপ লিফটিং প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এক ধরনের শপ লিফটার আছে যারা পেশাদার। তারা দোকান থেকে জিনিসপত্র চুরি করে অনলাইনে বিক্রি করে থাকে। তিনি বলেন, আমরা এমনও অয়্যারহাউস পেয়েছি যার পুরোটাই চোরাই দ্রব্যে বোঝাই। আর এক ধরনের শপ লিফটার আছে যারা অভাবী। এদের অনেকেই মাদকাসক্ত, মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের খাদ্য প্রয়োজন। আইনগতভাবে তাদের সমস্যা মোকাবিলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। মেয়র এডামস, যিনি নিজে একদা নিউইয়র্ক পুলিশের ক্যাপ্টেন ছিলেন, এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের যে সাহায্যের প্রয়োজন তা তাদেরকে দিন, যাতে তাদের আর দোকানে ঢুকে চুরি করতে না হয়। পেশাদার এবং সাহায্যের অভাবে যারা শপ লিফটিং করে তাদেরকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসন এখন কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ব্যাপক হারে শরণার্থী আগমনের কারণে সিটির অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের চাপ পড়ছে উল্লেখ করে মেয়র এডামস বলেন, এ বাবদ ব্যয় দেড় মিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সবাই শরণার্থীদের নিউইয়র্ক সিটিতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। শিকাগো, ওয়াশিংটন, হিউস্টোন প্রভৃতি স্থান থেকেও আমাদের শহরে শরণার্থী আসছে। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, শরণার্থীদের কারণে আমাদের সিটির প্রত্যেকটি সার্ভিসের ওপর চাপ পড়ছে।
শরণার্থীদের জন্য হোটেল কিংবা র্যানডাল আইল্যান্ডে শেল্টার খোলা হবে কিনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, এই সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রশাসনকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্ববর্তী মেয়র বিল ডি ব্লাজিওকে দোষারোপ করে বলেন, এই সংকট আমরা তাদের কাছে থেকে পেয়েছি। তিনি বলেন, এখন যে শরণার্থী আসছে তাদের জন্য আর র্যানডাল আইল্যান্ডে আশ্রয় শিবির খোলার প্রয়োজন হবে না। গত নভেম্বর থেকে এখানকার সব আশ্রয় শিবির বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন শরণার্থী আগমন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।